আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৬ মার্চ: লকডাউন উপেক্ষা, শ্রমিকদের জটলা করে বিড়ি ফ্যাক্টরি চালানোর অভিযোগ। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে কাজ বন্ধ করল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিলির বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এমন ঘটনার খবর পেতেই বিডিওর নির্দেশে এলাকায় ছুটে যায় হিলি থানার পুলিশ। তৎক্ষনাৎ কাজ বন্ধ হলেও এলাকা থেকে পুলিশ সরতেই ফের শ্রমিকদের দিয়ে ফ্যাক্টরি চালাবার অভিযোগ ওঠে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে এমন আইন ভেঙে শ্রমিকদের একত্রিত করে কিভাবে চলছিল ওই বিড়ি ফ্যাক্টরি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মালিক পক্ষের নির্দেশে এদিন ভোর পাঁচটা থেকেই হিলির ওই মতি বিড়ি ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগ দেন প্রায় শতাধিক শ্রমিক। কনট্রাকটর, জমাদার, লেভেল প্যাকিং মিলিয়ে কয়েকশো শ্রমিক একত্রিত হয়ে ওই কাজ করতে থাকেন। করোনা আতঙ্কের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে কি ভাবে ওই কাজ করছিল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিগত কয়েকদিন ধরে চলা কেন্দ্র ও রাজ্যের লক ডাউন নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই বিড়ি ফ্যাক্টরিতে চলছিল দেদার কারবার। বৃহস্পতিবার সকালে এমন খবর পেতেই বিডিও সৌমেন বিশ্বাসের নির্দেশে ছুটে যায় হিলি থানার পুলিশ। সাথে সাথে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই কাজ। যদিও পুলিশ এলাকা ছাড়তেই ফের কাজ চালিয়ে যায় মালিক পক্ষ বলে অভিযোগ। লক ডাউনের তিনদিন পরেও কিভাবে চলছিল ওই বিড়ি ফ্যাক্টরিটি? যা সামনে আসবার পরেও পুলিশ কেন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিল না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও হিলির বিডিও সৌমেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, গোপন খবরে এলাকায় পৌঁছে মতি বিড়ি ফ্যাক্টরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।