Sukanta, Bjp বার-বার আমার সঙ্গে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, নিজের কনভয়ে দুর্ঘটনায়, তদন্তের দাবি সুকান্তর

আমাদের ভারত, ৪ মার্চ: একের পর এক তাঁর সঙ্গে কেন এহেন দুর্ঘটনা ঘটছে, সেটার তদন্ত হওয়া উচিত। শান্তিপুরে নিজের কনভয় দুর্ঘটনায় এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

রবিবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই ঘটনায় তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী গুরুতরে চোট পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ির সামনের দিকের অংশ। গাড়ি দুর্ঘটনায় সামান্য চোট পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁর এক নিরাপত্তা রক্ষীর চোট কিছুটা বেশি বলে জানা গেছে। গাড়ির চালককেও হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার নদীয়ার ধুবুলিয়ার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে এসেছিলেন বিজিপি রাজ্য সভাপতি। সেখান থেকে ফেরার সময় ধুবুলিয়া বাবলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে সুকান্তবাবুর কনভয়ের সামনের পাইলট গাড়ির সামনে হঠাৎই একটি বাস চলে আসে। তাকে ওভারটেক করে নিজেকে কোন রকমে রক্ষা করার চেষ্টা করে পাইলটকার। তাদের পেছনেই ছিল সুকান্তর গাড়ি। সুকান্তর গাড়ি ব্রেক কষায় সেভাবে ধাক্কা না মারলেও, সুকান্তর গাড়ির পেছনে থাকা কনভয়ের আরেকটি গাড়ি এসে তার গাড়িতে ধাক্কা মারে। অল্প চোট পান বিজেপি সভাপতি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ির সামনের দিকের অংশ। আহত নিরাপত্তা রক্ষী এবং চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে চোট পেলেও সুকান্তবাবু বেশিক্ষণ সেখানে থাকেননি। ঘটনাস্থল থেকেই নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার আগে তিনি বলেন, পুলিশ ছিল না। রাস্তার মধ্যে ব্যারিকেড তৈরি করে কাজ চলছিল। আমাদের প্রায় ৩-৪ জন আহত হয়েছেন। ভাগ্য ভালো যে আমি বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু বারবার কেন আমার সঙ্গে এরকম ঘটছে সেটা তদন্ত হওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে বার বার আটকাতে থাকে। তার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপরে উঠে গিয়েছিলেন সুকান্তবাবু। দেখা যায় হঠাৎ তিনি পড়ে যান। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে গাড়ির বনেটে সুকান্ত উঠেছিলেন সেটি ইচ্ছে করে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পড়ে গিয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন সুকান্তবাবু। বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কলকাতায় কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্দেশখালি যান বিজেপি নেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *