আমাদের ভারত,৩১ জানুয়ারি: মানবকুলে নিজের ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। চিনের এই মারন ভাইরাসের প্রকোপে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২১৩ জনের। বিশ্বের ১৮টি দেশে পাওয়া গেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। অথচ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি এর কোনো প্রতিষেধক। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে কিভাবে সুস্থ করে তোলা সম্ভবতা নিয়ে দিশেহারা চিকিৎসকরা।ভয়াবহ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্বে সর্তকতা জারি করলো বিশ্ব সংস্থা স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
ইতিমধ্যে চিনে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। চীনের হুবেই প্রদেশের প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একের পর এক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন। ক্রমেই মহামারীর আকার নিতে শুরু করে করোনা। এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ১৮ টি দেশে কমপক্ষে১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
WHO- র রিপোর্ট
অনুযায়ী বিশ্বের যে ৩০টি দেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে রয়েছে ভারতও। WHO-র সমীক্ষা বলছে ঝুঁকির তালিকায় যে দেশ গুলি রয়েছে তার মধ্যে প্রথম নাম থাইল্যান্ডের।পরই রয়েছে জাপান এবং হংকং। আমেরিকা রয়েছে ৬ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ১০ নম্বরে, ইংল্যান্ড ১৭ নম্বরে,ভারত ২৩ নম্বরে।
গত কয়েক দিনে যে গতিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশেষ করে একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাইরেক্টর জেনারেল। সেই জন্যেই বিশ্বজুড়ে সর্তকতা জারি করা হলো বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতালিতেও মিলেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। চিন
ভ্রমণ করে ফিরে যাওয়া এক ব্যক্তির শরীরেও পাওয়া গেছে কারোনা ভাইরাস। তাই ইটালি থেকে চীন পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।
চীনের ইউহান বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করতে যাওয়া কেরালার এক পড়ুয়ার দেহ মিলেছে করোনা ভাইরাস। ত্রিপুরায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সন্দেহে বিহার, দিল্লি, রাজস্থানে বেশ কয়েকজন ভর্তি হাসপাতালে। তবে কেন্দ্রের আয়ুষদপ্তর মনে করছে হোমিওপ্যাথিতে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই করোনা ভাইরাস থেকে। যদিও তা নিয়ে একমত নন দেশের বড় অংশের চিকিৎসক মহল।