পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি: শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের ১৯ নং ওয়ার্ডের বক্সিবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচি সারলেন মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য সরকার, রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশকে তীব্র কটাক্ষ করলেন।
তিনি বলেন, উনাদের সবকিছু বুঝতে দেরি হয়। ইডি সিবিআই- এর উপর লোক দিয়ে আক্রমণ করিয়ে বলছিল জনরোষ। আজ তাদের কার্যকর্তাদের, অঞ্চল সভাপতিদের লোকে রাস্তায় ধরে জুতোপেটা করছে, তখন টিএমসির বুদ্ধি হয়েছে যে এটা জনরোষ। ১২ বছর ধরে মানুষকে বঞ্চিত করেছে, প্রতিবাদ করলে ধরেছে, কেস দিয়েছেন, জেলে পুরেছে, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়েছে, ধর্ষণ করেছে ওদের গুন্ডারা, পার্টির লোকেরা। তারপরে যখন তারা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করছে, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মিথ্যে কথা বলছেন, এরা নাকি বাইরের লোক। কত রকম অপমান করবেন? আপনি কি ভাবছেন? ৫০০ টাকা দিয়ে কি সবার ইজ্জত কিনে নিয়েছেন? আজ এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন তৃণমূলকে সব জায়গায় হতে হবে।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই, এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ওখানকার পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়? আজ সব বড় বড় অফিসাররা, রাজীব কুমার পর্যন্ত গেছেন। ১২ বছরে কদিন গেছেন? এসপি, ডিজি, ডিআইজি কদিন গেছেন ওখানে? তৃণমূলের কোনো নেতা গেছে? শাহজাহানের হাতে ওখানকার মানুষকে ছেড়ে দিয়েছেন। নেকড়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। তাই এদের চুষে খেয়েছে। আজ যখন মানুষ প্রতিরোধ করতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন তাদের গিয়ে বোঝানো হচ্ছে। এই পুলিশের মুখ কখনো ওখানে দেখেনি ওরা। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে অত্যাচার করেছে। সেই পুলিশের কথা কেন শুনবে। তাই পুলিশের গাড়ি আটকাচ্ছে, পুলিশকে ইট পাটকেল মারছে। সারা পশ্চিম বাংলায় এই পরিস্থিতি। গুন্ডা আর পুলিশের ভয়ে মহিলারা মুখ খুলতো না, সবে খুলেছে, বাংলার প্রতি কোণ থেকে এই ধরণের প্রতিবাদের আওয়াজ আসবে।
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে সেলিমের মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এইসব গল্প অনেকদিন শুনবে লোকেরা, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। যাদের ভিটেমাটি উঠে গেছে, তাদের কথায় কে পাত্তা দেয় ?