ডাঃ প্রশান্ত কুমার ঝরিয়াৎ
আমাদের ভারত, ৯ মার্চ: বসন্তের শ্রেষ্ঠ উৎসব হোলি।বসন্তের প্রকৃতি যেমন নিজেকে রঙে রাঙিয়ে নিয়েছে সেই রকম আমরা আবিরের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে নেব। মনের সমস্ত মলিনতাকে সরিয়ে মনকে রাঙাব নতুন সাজে। কিন্তু এই রঙের উৎসবে আমরা যদি একটু সাবধান না হই তবে এই আনন্দ উৎসব পরিনত হতে পারে বিষাদে। তাই আসুন আজ আমরা জেনে নিই কিকি সাবধানতা অবলম্বন করলে এই রঙের খেলায় আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব না।
প্রথমেই বলি রাসায়নিক আবির বা রঙের পরিবর্তে ভেষজ আবির ব্যবহার করুণ। রাসায়নিক আবির বা রঙে সাধারণত কঙ্গোরেড, লেডক্রোমেট বা মেটানিল ইয়েলোর মতোন ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলি মেশানো থাকে যেগুলি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। রঙ খেলার আগে গায়ে ভালো করে ক্রিম জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিলে রঙ তুলে ফেলতে খুব সুবিধা হয়। রঙ খেলার পর বেশি দেরী না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাবান জল দিয়ে রঙ পরিষ্কার করে ফেলুন। রঙ মাখা অবস্থায় কখনোই মুখে হাত দেবেন না বা কোনো খাবার খাবেন না, রঙ পেটে চলে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। চোখে রঙ লেগে জ্বালা করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠান্ডা জলে চোখ ধুয়ে ফেলুন, তারপরও অসুবিধা হলে চোখের ডাক্তারবাবুর কাছে যান। যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির ধাত আছে তাদের এসব এড়িয়ে চলাই ভালো নয়তো একটা মাস্ক ব্যবহার করুন।
এই সময় করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, তাই যতদূর সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, অচেনা আগন্তুকদের সঙ্গে রঙ না খেলাই ভালো। রঙ খেলার সময় ফুলহাতা জামা, মাথায় টুপি আর চোখে চশমা ব্যবহার করলে সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
দোল কোনও প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি উৎসব। তাই অযথা জোর করে কাউকে রঙ না দিয়ে, কাউকে কোনো সমস্যায় না ফেলে সকলেই আসুন এই উৎসবে মেতে উঠি।