আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৯ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গে এসে ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের ঘটনায় এনএআইএ’র তদন্ত ও পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সভাপতি অলোক কুমার।
আজ বীরভূমের রামপুরহাট থানার খরমাডাঙ্গা গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সভাপতি অলোক কুমার বলেন, “সিএএ, তিন তালাক, ইউনিয়ন সিভিল কোর্ট আইনের অনেক জায়গায় বিরোধিতা হয়। কিন্তু বাংলায় হিংসা হয়। আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হয়, কিন্তু টার্গেট হিন্দুদের উপর হয়। নিজের দেশে শরনার্থী হন হিন্দুরা। এখানকার রাজ্য সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ”।
তাঁর দাবি, শরণার্থী শিবিরে হিন্দুরা ঠিক মতো খাবার, পানীয় জল পাচ্ছে না। আমরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন দিতে দেয়নি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন মালদা, মুর্শিদাবাদের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তাই যদি হয়, তাহলে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশিরা। তাহলে ঘটনার তদন্ত এনআইএ’কে দেওয়া হোক”।
অলোকবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সংসদের আইন মানেন না। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত যে আইন চালু হয়েছে বাংলায় সেটা মানা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। তাঁর ঘোষণা মতে, ভারতের সংবিধান মেনে এই রাজ্য চলবে না। এভাবে দেশের আইন লঙ্ঘন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করা উচিত”।
মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের আইন আত্মরক্ষা করার অধিকার দিয়েছে। হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে নিজেদের রক্ষা করার ব্যবস্থা করুক। আর আগামী দিনে হিন্দু বিরোধী সরকারকে জবাব দিতে হবে।”