আমাদের ভারত, ২৭ জুলাই: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের অবস্থা জম্মু ও কাশ্মীরের থেকেও খারাপ। কাশ্মীরি পন্ডিতদের মতো অবস্থা হবে হবে হিন্দুদের। প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিষয়টিকে পাত্তাও দিচ্ছে না। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
লোকসভায় তিনি বলেছেন, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে যে অবস্থা হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। সেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই অবস্থা বাংলাতেও হতে চলেছে। এ বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠনের দাবি করেছেন তিনি।
সৌমিত্র খান বলেছেন, বিগত ১০ বছর ধরে সমগ্র ভারতবর্ষের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করে সেই অর্থ মাঝপথেই হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। আজ যেটা পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সেটা কেবল পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা নয়, ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্বের সমস্যা। ভারতবর্ষের নিরাপত্তার সমস্যা বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।
তাঁর অভিযোগ, রোহিঙ্গা সমস্যাকে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল দিনের পর দিন প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য যতই বরাদ্দ করা হোক না কেন, সে বরাদ্দের অধিকাংশ অংশই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রোহিঙ্গাদের লালন পালন করতে এবং নিজেদের পকেট ভরতে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে ভারতবর্ষের নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে রোহিঙ্গা সমস্যার পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেশের অখণ্ডতা নষ্টের চেষ্টা করছে। তাদের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সৌমিত্র খান বলেছেন, তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে দেবেন।
বিজেপি সংসদ অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ করলেই হবে না, উন্নয়ন খাতে টাকা যেন সঠিকভাবে খরচ হয় তারও নজরদারি করতে হবে। অন্যথায় বিগত দিনগুলির মত যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের টাকায় পিসি ভাইপো কোম্পানির পকেট ভরেছে। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে, তার পুনরাবৃত্তি হবে।
একই সঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুর এলাকায় উন্নয়নের জন্য বাঁকুড়া- দুর্গাপুর রেলপথ নির্মাণ, বিষ্ণুপুর বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।