আমাদের ভারত, ৩০ নভেম্বর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাঁর তোষণ রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।” অনুপ্রবেশের পর নাম বদল করে জাল ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে
পার্কস্ট্রিট হোটেলে কাজ করা এক বাংলাদেশি মুসলিম ব্যক্তির গ্রেফতারের ঘটনায় শনিবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি লিখেছেন, “প্রতিবেশী নাগরিকরা নিজেদের আইডি সুরক্ষিত রেখে অনায়াসে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সীমান্তে ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়। প্রকাশ্যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সমালোচনা করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কি এই অনুপ্রবেশকারীদের ঢাল করতে চান?
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর আরও প্রশ্ন, “বাংলাদেশের দুর্দশা দেখার পরও কি তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেবেন না? মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এর ব্যাখ্যা চায়।”
প্রসঙ্গত, পার্কস্ট্রিট এলাকার একটি হোটেল থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের এক নাগরিককে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় দু’ বছর আগে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন তিনি। তারপর নাম বদলে ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে কাজ নিয়েছিলেন কলকাতায়। পুলিশ সূত্র খবরে জানিয়েছে, পার্কস্ট্রিট থেকে ধৃত ৪২ বছরের ওই বাংলাদেশি নাগরিকের নাম সেলিম মাতব্বর। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। আধার কার্ডের ফটোকপি মিলেছে। সেখানে তার নাম রবি শর্মা। পাসপোর্টে জন্মস্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে রাজস্থান। এছাড়াও, দিল্লির একটি ঠিকানাও রয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুরে। তিনি সে দেশে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল। সেই সময় রাজনৈতিক ঝামেলার কারণে বাড়ি ছেড়েছিলেন দু’ বছর আগে। বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়া জেলায় ঢুকেছিল। সেলিম এরপর দালালের সাহায্যে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। ভুল তথ্য দিয়ে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে চলে এসেছিল কলকাতায়। নাম বদলে পার্কস্ট্রিটের একটি হোটেলে চাকরি নেওয়ার পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী বাঙালি নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্বের নথি বানানোর কাজেও তার জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। তার সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।