আমাদের ভারত, ২৯ ডিসেম্বর: বর্ষবূ আগে থেকেই রাজ্যজুড়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এই পারদ আরও নামবে। সঙ্গে পাঁচ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর পশ্চিম ভারতের হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে তুষারপাত হচ্ছে। ফলে উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে আসা শীতল হাওয়া আরও একবার পশ্চিমবঙ্গকে কাঁপাবে।
বাংলায় বর্ষশেষ ও বর্ষবরণের রাতে হাড়হিম ঠান্ডা পরবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য তাপমাত্রা এখনো বেশি কমেনি, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটিয়ে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে। মেঘ সরিয়ে ঢুকবে উত্তুরে হাওয়া। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে ডিসেম্বের ৩০ তারিখ থেকে বছরের শুরুতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি রাজ্যের বেশকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়াতে এই শৈত্যপ্রবাহে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী দুই দিন রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৪ ডিগ্রি কম থাকবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় পূর্বাভাস মতোই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রয়েছে পানাগড়ে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ হবে দেশেরবেশ কিছু রাজ্যে। পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি বিহারেও হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়তে চলেছে। এমনকি রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা 0° পথেই এগোচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবারেই দিল্লিতে বেশ কিছু জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৬ ডিগ্রি তে পৌঁছায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেই তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি কমতে পারে। ফলে দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। পশ্চিম হিমালয়ের সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ে ইতিমধ্যে বরফে ঢেকে গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর সহ হিমাচল, সিমলা, মানালি ডালহৌসির বরফের চাদরে ঢেকে রয়েছে।