আমাদের ভারত,৩০ ডিসেম্বর: পুজোতে রেহাই পায়নি বাঙালি। এবার ইংরেজি বর্ষবরণও মাটি করতে পারে বৃষ্টি। ধেয়ে আসছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। যার ফলে বছরের প্রথমেই হতে পারে বৃষ্টি বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় পারদ আরও নামবে। কনকনে ঠান্ডা মালুম হবে বছরের শেষ দিনে।
নতুন বছরের শুরুটাই হতে পারে বৃষ্টি দিয়ে এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। মঙ্গলবার থেকে বাংলায় ঢুকতে বাধা পাবে উত্তর ভারত থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়া। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা (ঠান্ডা ভারী ঝড়ো হাওয়া) পশ্চিমি ঝঞ্ঝা রাজ্যের দিকে আসছে। তার সঙ্গে সাগরের জোলো হাওয়া মিশে ২-৩ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে কলকাতা শহরেও জেলায়।
এমনিতেই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলি। কলকাতায় সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার ছিল এই মৌসুমের শীতলতম দিন। রবিবার তাপমাত্রা খানিকটা উপরে উঠলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ব্যপক ঠাণ্ডা পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। অতএব বছরের শেষ দিনে ভালোই ঠান্ডা কাঁপবে রাজ্যবাসী।
বড়দিনের পরের দিনই হালকা বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলায়। পশ্চিমী ঝঞ্জা ও বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া উচ্চবলয়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে তেমন জাকিয়ে ঠান্ডা পড়ছিল না। কিন্তু মেঘ সরতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর ভারতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বাধাহীনভাবে রাজ্যে ঢুকেছে। ফলে এক ধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া দুই বর্ধমানের চলেছে শৈত্যপ্রবাহ।