অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, কলকাতা, ২০ জুলাই: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের সামাজিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উঠল। সতর্কতা দেওয়া হরেছে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের। কারণ বাংলাদেশে আওয়াজ উঠেছে, “ভারত যাদের মামারবাড়ি বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি”। পালটা জাতীয়তাবাদী ধ্বণি উঠেছে, “ভারত মাতা কি জয়!”
সাংবাদিক মানব গুহ শুক্রবার রাতে লিখেছেন, “ভারত যাদের মামারবাড়ি বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি,” বাংলাদেশ এটা বলতে পারলে, আমরা কেন এটা জোর গলায় বলতে পারব না? সবাই জোর গলায় এটা বলুন…” শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত এতে পছন্দ, প্রতিক্রিয়া ও শেয়ার হয়েছে যথাক্রমে ৪৬৩, ৯১ ও ২৮।
শুভাশিস রায় লিখেছেন, “ঝান্ডু’বাম’ রা আবার এই কাংলাদেশীদের জন্য রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছিল। ছিঃ ছিঃ ছিঃ”! অপর্ণা মাজি লিখেছেন, “ওরা তো সব পারে কিন্তু আমরা কেন কিছুই পারিনা?” কান্তি মুখার্জি লিখেছেন, “অনুপ্রবেশ যতই করো এদেশ তোমার নয়। তাড়াতাড়ি দেশে ফেরো থাকলে জেলের ভয়।”
সুদীপ ভৌমিক লিখেছেন, “জো হামারে সাথ হ্যায় হাম উনকে সাথ হ্যায়..। শুভেন্দুর এই স্লোগানটাই ২০২৬ এর ভোটের ক্যাচলাইন হয়ে গিয়েছে অলরেডি।” শুভ্র মজুমদার লিখেছেন, “যারা আমাদের দেশের লোক মরলে আনন্দ পায়, সেনা মৃত্যুতে আনন্দ হয়, ভারত হারলে আনন্দ পায়, গালাগালি দেয় সেই দেশের খবর জানার কোনো ইন্টারেস্ট নেই।” হিন্দুত্ববাদী সুতপা লিখেছেন, “অবশ্যই বলতে পারি –আরব যাদের দাদুর বাড়ি -ভারত ছাড়ো তাড়াতাড়ি।”
ব্রত মুখার্জি লিখেছেন, “সনাতন শেষ কথা, যারা অপমান করবে তারা এদেশের শত্রু, এখানে জায়গা নেই তাদের।” পরিব্রাজক বিশ্বনাথ লিখেছেন, “তুমি কি বাংলাদেশী? যে কাজটি কোরছো, জনমত গঠন তা অনেক সাফল্য পেয়েছে। ৪০ % হিন্দু ভোট একত্রিত হয়েছে। এটি কম কথা নয়। কাজ আরো বাকি। হতাশ হওয়ার জায়গা নেই। এগিয়ে চলো।”
বাবলু সরকার লিখেছেন, “যদি ওরা পারে তবে আমরাও পারি। শুরু করলেই ওরা গুহায় লুকোবে, এটাই সঠিক সময়।” অর্ধেন্দু বিশ্বাস লিখেছেন, “বাংলাদেশ যাদের বাপের বাড়ি
ভারত ছাড়ো তাড়াতাড়ি।” সুজিত চন্দ্র দাস লিখেছেন, “পারলে আপনারা পশ্চিমবাংলা থেকে একটা মিছিল বের করুন প্রতিবাদ হিসাবে।” রূপক পাণ্ডে লিখেছেন, “মনে হচ্ছে আমরা আফগানিস্তানের কাবুলে বাস করছি।” সুরজিৎ অধিকারী লিখেছেন, “ভারত মাতা কি জয়।”
এর ঠিক আগে মানব ইউটিউবে ’ছাত্র আন্দোলন এখন হিন্দু বিরোধী আন্দোলন, জেগে উঠল বাংলার বাম বুদ্ধিজীবীরা’ শীর্ষক শিরোনামে যে ভাষ্য দিয়েছেন, শনিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত সেটি দেখেছেন ১ লক্ষ ১৮ হাজার জন।
প্রচণ্ড ক্ষোভ হয় যখন দেখি যাঁরা সাবেক পূর্ব-পাকিস্তানে এবং পরবর্তিতে বাংলাদেশে মৌলবাদী মুসলমানদের হাতে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে পালিয়ে এসে এখানে বসবাস করছেন, তাঁরাই বা তাঁদের বংশধরেরা ভারতবর্ষের মৌলবাদী মুসলমানদের সাথে বা তাদের দোসরদের সাথে হাত মিলিয়ে সনাতনী হিন্দুদের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে। ঐসব বেজন্মা হিন্দুদের জন্যেই পশ্চিমবঙ্গে অচিরেই সনাতনী বাঙ্গালী হিন্দুদের জীবন বিপন্ন হবার আশংকা দিন দিন বেড়েই চলেছে।