আমাদের ভারত, ৩১ মার্চ: গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের শো কজের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু তার পরও দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই। শনিবার কটাক্ষ করেছেন নিজের প্রতিপক্ষ কীর্তি আজাদকে। রবিবার ফের তাঁর নিশানায় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার চোট নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শো কজ হোক বা অন্য কিছু। ভোটের ময়দানে দিলীপ ঘোষ রয়েছেন নিজস্ব ফর্মেই। শনিবার কালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে তার প্রমাণ রেখেছেন। মন্দিরে পুরোহিতের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল মাকে বলুন, যেন বর্ধমান- দুর্গাপুরের সম্মান রাখতে পারি। বহিরাগতরা যেন জামা কাপড় খুলে রেখে চলে যায়। আজ রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর। চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতেই ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের নদীয়ায় তৃণমূল নেত্রীর প্রথম সভা। সেই প্রসঙ্গে রবিবার দিলীপের কটাক্ষ, “উনি এতদিন কেন প্রচারে নামেননি সেটা তো আগে জিজ্ঞাসা করুন। উনি মাথার স্টিকারটা কবে খুলবেন? ভোট শেষ হবার আগে না ভোটের পরে? ”
এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি প্রার্থী। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “ভোটের আগের চোট। এটাও তো ভোটের রেসিপি। হাত-পা ভাঙ্গবে, মাথা ভাঙ্গবে, কোথাও না কোথাও চোট লাগবে। ওই ইমোশনাল ভোট আর হবে না।
অনেকের মতে দিলীপ ঘোষ বোঝাতে চেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি তৃণমূলের ভোটে এজেন্ডা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, ভোটে জেতার জন্য বিজেপির মত আমাদের কোনো মিথ্যে কথা বলতে হয় না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস তিনশো পয়ষট্টি দিনই মানুষের পাশে থাকে, মানুষের সঙ্গে থাকে। তিনি আরো বলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করে বিজেপি নেতারা বারে বারে নোংরা ভাষায় কথা বলছেন। বর্ধমানসহ রাজ্যের মানুষ ইভিএমে এর যোগ্য জবাব দেবে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ দিলীপ ঘোষকে ছাগলের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, “বেঙ্গলি মে কাহা বাত হে, পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়।”