আমাদের ভারত, ২৪ মে: ভোটদানের জন্য বুথে প্রবেশের আগে নির্ধারিত কাউন্টারে মোবাইল ফোন জমা দিতে হবে ভোটার অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে। তবেই ভোট দিতে পারবে সে। এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মোবাইল নিয়ে বুথে যারা ভোট দিতে আসেন তাদের জন্য এই খবর স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী বুথে প্রবেশের আগে ভোটাররা তাদের মোবাইল ফোন নির্ধারিত কাউন্টারে জমা দেবেন। ভোট দিয়ে আঙুলে কালি লাগানোর পর ফের ফোন সংগ্রহ করতে পারবেন। ভোটাররা চাইলে বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে ইঙ্কড ফিঙ্গার সহ সেলফিও তুলতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিবৃতিতে।
চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায় থেকে এই নিয়ম চালু হওয়ার কথা চলছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ করতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন কমিশন আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা বুথের প্রবেশ পথ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে অস্থায়ী হেল্প ডেস্ক তৈরি করতে পারবে। এই ডেস্ক গুলির মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ ভোটার স্লিপ বিতরণ করা যাবে। এর আগে এই ধরনের ডেস্ক বসানোর অনুমতি ছিল ২০০ মিটার দূরত্বে।
কমিশন জানিয়েছে, শহর ও গ্রামে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায়, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক, নারী ও প্রতিবন্ধীদের ভোটদানের সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী বুথের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখা গেলেও তা অবশ্যই বন্ধ অবস্থায় থাকতে হবে। বুথে প্রবেশপথে পিজন হল বাক্সে বা জুটের ব্যাগে ফোন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। বুথের ভেতরে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
উল্লেখযোগ্য ভাবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো ভোটারদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্কড ফিঙ্গারের সেলফি ও ভিডিও শেয়ারের প্রবণতা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। এমনকি বুথের কাছাকাছি গিয়ে কাকে ভোট দিচ্ছেন তাও জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অনেকে।