আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৩ জানুয়ারি: কারিগর শ্রেণির হয়ে পুরস্কার নিলেন বালুরঘাটের বিশ্বনাথ লাহা। বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়ে নিজের কারিগরি দক্ষতাকে তুলে ধরে ওই শ্রেণির মানুষদের উৎসাহ প্রদান করলেন বিশ্বনাথ বাবু। ছোট থেকে নানা কারিগরী কাজের মধ্যে দিয়ে বড়ো হওয়া বিশ্বনাথ বাবু জানালেন, সব কাজের মধ্য দিয়েই কিছু শেখার বিষয়। জানালেন একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবার দাবিও। নজরকাড়া সফলতা তুলে ধরলেন কবিতা ও সাহিত্য জগতেরও। সোমবার শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ উৎসবের অনুষ্ঠানমঞ্চে বঙ্গরত্ন সম্মান তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সম্মান পেয়ে আনন্দিত বিশ্বনাথবাবু। মুখরিত তার পরিবারও।
বিশ্বনাথ লাহা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে এই সন্মান পেয়ে তিনি অভিভূত। বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিলেন তিনি। তার মতো একজন মেকানিকের এই সন্মানে উৎসাহ পাবে অনান্যরাও। মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান তিনি। কবিতা লেখার নেশায় আরো মত্ত থাকতে চান তিনি।
১৯৫৩ সালের ১৫ ডিসেম্বরে জন্ম বিশ্বনাথ লাহা ছোটোবেলা থেকেই দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে বড় হয়েছেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে বড় ছেলে বিশ্বনাথ লাহা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কবিতা লিখতে ভালো বাসতেন। পড়ার পাশাপাশি বাবার সাইকেল মেকানিকের কাজও সামলেছেন তিনি। কিন্তু ছোটো বেলা থেকেই নতুন নতুন কাজ শিখে নিজস্ব উপার্জনের প্রতি বরাবরই আগ্রহ ছিল তাঁর। প্রথমে হিলির বাসিন্দা থাকায় তিওড় কৃষ্ণাষ্টমী হাইস্কুলে পড়াশুনা করেন তিনি। ইতিমধ্যে ১৪টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে বিশ্বনাথ লাহার। রাজ্যপালের কাছে পুরষ্কার, সাহিত্য সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি একাধিক সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িয়ে রয়েছেন বিশ্বনাথ বাবু।
বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী বিভা লাহা জানিয়েছেন, প্রথমে কিছু লেখা সম্পন্ন হলেই তাকেই দেখান তিনি। স্বামীর এমন সাফল্যে খুশি তিনি। এই সন্মান আগামীতে তার কাজে আরো বাড়তি উৎসাহ প্রদান করবে।