আমাদের ভারত, কলকাতা,২৩ নভেম্বর :
এক সময় মনে হয়েছিল ফের স্মরণীয় হয়ে থাকতে যাচ্ছে ইডেনের গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট। ২৪১ রানের লিড নিয়ে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুলদের ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছে। খেলার বয়স তখন মাত্র ৬.৪ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ততক্ষনে ৪ উইকেট খুইয়ে রান উঠেছে মাত্র ১৩। ঈশান্তের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে দর্শকদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাহলে কি দ্বিতীয় দিনেই শেষ হয়ে যাবে মমিনুলদের দ্বিতীয় ইনিংস। এর আগে ইডেনে হাজির প্রায় ৪৩ হাজার দর্শক দেখেছে বাইশ গজে কোহলি রাজ। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি টেস্টের প্রথম দিন ৩২ রান করেই প্রথম ভারত অধিনায়ক হিসেবে ৫ হাজার রানের মালিক হয়ে যান। গোলাপি বলের দিনরাতের টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে রয়ে যাবে কোহলির নাম। লাঞ্চ ব্রেকের পর দুর্দান্ত ক্যাচে যখন কোহলি ফিরে যাচ্ছে তখন তার পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৪৬ রানের ইনিংস। ততক্ষণে তার নামের পাশে যোগ হয়ে গেছে অধিনায়ক হিসেবে কুড়ি তম সেঞ্চুরি। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে ২৫ টি সেঞ্চুরি আছে শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রাহাম স্মিথের।
কোহলি ফিরে যেতেই ভারতের ইনিংসে ধস নামে। দাপট দেখাতে শুরু করে বাংলাদেশের পেসারেরা। পিচ যে দ্রুত পেসারদের হাতে চলে যাচ্ছে অনুমান করেই কোহলি ক্রিজে থাকা ঋদ্ধিমান ও শামিকে ডেকে নিয়ে ৩৪৭ রানে ৯ উইকেটে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে দেয়।
নতুন বলে ফের আগুন ঝরাতে শুরু করলেন ঈশান্ত, উমেশ, শামিরা। ১৩ রানে ৪ উইকেট পরে যাওয়ার পরে সবাই যখন ভাবতে শুরু করেছে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়ে সেই সময় হাল ধরলেন মুশফিকুর রহিম।পিচ আঁকড়ে পড়ে থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গোলাপি টেস্টে নিজের অর্ধশতরান করে ফেললেন। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান। ক্রিজে রয়েছেন ৭০ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ইনিংসে ঈশান্তের ঝুলিতে চলে এসেছে ৪ উইকেট। ভারত আপাতত এগিয়ে ৮৯ রানে। তৃতীয় দিনের প্রথম দুই ঘন্টা বাংলাদেশের কাছে কঠিন পরীক্ষা। তাদের হাতে আছে চার উইকেট। নতুন বলে ৮৯ রান যোগ করা কিছুটা হলেও কঠিন মুশফিকুরদের কাছে। বিশেষ অঘটন না ঘটলে তৃতীয় দিনের শেষের আগেই খেলায় ফয়সালা হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।