বিজেপির মনোনয়ন বাতিল, রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর জয় শুধু ঘোষণার অপেক্ষা

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১০ ফেব্রুয়ারি: পুরসভায় চাকরি করায় বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল। অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করতে চলেছে শাসক শিবিরের প্রার্থী। যদিও বিজেপির অভিযোগ, পরিকল্পনা করে বাদ দেওয়া হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীকে।

রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড দীর্ঘদিন থেকে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এবার ওই ওয়ার্ড তপশিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় প্রার্থী হতে পারেননি তিনবারের কাউন্সিলর বিদায়ী উপপ্রশাসক আব্বাস হোসেন। দল তাকে অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী না করায় তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। রাত পোহাতেই তিনি ফের তৃণমূলে ফেরেন। ওই ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন তুফানি মাল। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন রূপা হাজরা। বিজেপির প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন হেমা হরিজন। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র স্কুটিনি করতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যায়।

রামপুরহাটের মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “ওই প্রার্থী রামপুরহাট পুরসভায় চাকরি করেন। কিন্তু তিনি পুরসভা থেকে নো-অবজেকশন কাগজ জমা দেননি। তাই তাঁর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে”।

হেমা হরিজন বলেন, “আমি মাসে ১৯৭৮ টাকা পুরসভা থেকে পাই। আমার কোনো নিয়োগপত্র নেই। সকালে শহরে ঝাঁট দিয়ে ওই সামান্য টাকা পাই। চক্রান্ত করে আমার মনোনয়ন পত্র বাদ দিল। প্রশাসন আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। এছাড়া একজন ঝাড়ুদারের যে বেতন তাও সম্পূর্ণ মিটিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমি উচ্চ আদালতে যাবো”।

রামপুরহাটের বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কারও মনোনয়ন পত্র বাতিল করিনি। নির্বাচনী আধিকারিক নিয়ম মেনে যা করার করছেন। আমরা মনোনয়ন পত্র বাতিল করার কেউ নই”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *