অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বনগাঁ আদালতে বরুণ বিশ্বাসের পরিবার

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ জানুয়ারি: বরুণ বিশ্বাসের খুনের মামলায় সাক্ষী হতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন দিদি প্রমীলা রায় বিশ্বাসের। বাবা সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও কেন সমন পাঠানো হচ্ছে না প্রশ্ন তুলেছে বরুণের দিদি প্রমিলা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মদতেই খুন হয়েছে আমার ভাই দাবি দিদির।

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়ার প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস ৫ জুলাই ২০১২ সালে খুন হয়েছিল। ৫ জুলাই ২০১৩ থেকে বিচার শুরু হয়েছিল। এই মামলায় ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। ৯ জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছিল সকলেই। জামিনে মুক্ত পরবর্তীতে একজনের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, সিআইডির তরফ থেকে অসহযোগিতার কারণে এখনও তারা বিচার পায়নি। বৃহস্পতিবার বনগাঁ অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সেশন জাজ ফাস্টট্রাক ১ আদালতে সাক্ষীর দিন থাকলেও ডাকা হয়নি তার বাবা জগদীশ বিশ্বাসকে।

এদিন বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস এই মামলায় সাক্ষী হতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার এবং সিআইডি মামলায় অসহযোগিতা করছে। বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমীরা রায় বিশ্বাস এদিন অভিযোগ করেন যে ৫২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে তারা বেশিরভাগই তাদের অপরিচিত। তিনি চান পাঁচজন সাক্ষীর নাম দিয়েছেন তাদের নাম সাক্ষী হিসেবে আদালত গ্রহণ করুক। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, বরুণ খুনের মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দুষ্কৃতীদের মদত দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *