আমাদের ভারত, ৮ জুন : উত্তর প্রদেশের আগ্রার শ্রী পারস হাসপাতালে ইচ্ছাকৃত অক্সিজেন বন্ধের জেরে রোগী মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। ২৮ তারিখে একটি ভিডিওতে সেই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সেই হাসপাতালেরই মালিক। আগ্রার জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার উভয়ই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে জেরবার হয়েছিল হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। অক্সিজেন, ডাক্তার, ওষুধ প্রায় সব ক্ষেত্রেই অভাব লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে এলেও পরিস্থিতির ভয়াবহতা মানুষের মন এবং মস্তিস্ক থেকে যায়নি এখনও। তারই মধ্যে আগ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতাল মালিকের ১.৫ মিনিটের একটি ভিডিও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নেট মাধ্যমে ।
ভিডিওতে হাসপাতাল মালিক অরিঞ্জয় জৈনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজ্য জুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার শুরু হতেই, অক্সিজেনের অভাবে কোন রোগী মৃত্যু হতে পারে এবং কোন রোগী বাঁচানো যেতে পারে তা পরীক্ষা করতেই হাসপাতালে একটি ‘ভুয়ো মহড়া’ করে । ২৭ এপ্রিল সকাল ৭ টায় ওই মহড়া চালানো হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও অক্সিজেন জোগাড় করতে পারছেন না, কাজেই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন।
তিনি ভিডিওতে এও বলছেন যে, সেই নির্দেশ মত তারা বহু রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতাল থেকে রোগীদের চলে যাওয়ার কথা বললেও অনেকেই তাতে রাজি হননি। তাই ভুয়ো মহড়া চালিয়ে ৫ মিনিটের জন্য অক্সিজেন বন্ধ করে ছিলেন তারা। ফলে সেদিন চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের মধ্যে ২২ জনের দেহ অক্সিজেনের অভাবে নীলাভ হয়ে যাচ্ছিল, তারা মারাও যেতে পারেন।
এই ভিডিও সামনে আসতেই আগ্রার জেলা প্রশাসক প্রভু এন সিং ঘটনাকে মিথ্যে বলে দাবি করে। তিনি জানান ২৬ এবং ২৭ এপ্রিলে ওই হাসপাতালে ৭ জন মারা গিয়েছিলেন তবে অক্সিজেনের অভাবে নয়। সেখানে অসংখ্য আইসিইউ বেডের ব্যবস্থাও আছে। অক্সিজেনের অভাবে চাঞ্চল্য ছড়ালেও ৪৮ ঘন্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ২৭ তারিখ ২২ জনের মৃত্যুর খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি জেলা প্রশাসকের।
ঘটনা প্রসঙ্গে, রাজ্য প্রশাসন এবং বিজেপিকে তুলোধনা করেছে বিরোধী নেতা রাহুল গাঁধী ও প্রিয়াঙ্কা গাঁধী।