আমাদের ভারত,১১ ফেব্রুয়ারি: কেল্লাফতে কেজরিওয়ালের। বিদ্যুৎ, জল সড়ক,স্বাস্থ্য,শিক্ষা দিয়েই ফের দিল্লিবাসীর মন জিতলেন কেজরিওয়াল। প্রায় ফ্রিতে জল-বিদ্যুৎ, মহল্লা ক্লিনিক থেকে সরকারি স্কুল বাস মেট্রো আর অ-বিজেপি ভোটকে সম্পূর্ণ ভাবে নিজের দিকে আনার কৌশলেই ফের বাজিমাত করলেন কেজরিওয়াল। জেতার পর এই নতুন স্লোগানও তৈরি করে ফেললেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য। “আচ্ছে বিতে ৫ সাল, লাগে রহ কেজরিওয়াল।
খুব সযত্নে এড়িয়েছেন শাহিনবাগ বিতর্ক। প্রচারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটাই কথা আওড়েছেন উন্নয়ন আর উন্নয়ন। কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন মানুষের কাছে তিনি। বলেছেন মেরুকরণের বদলে চাই রুটি কাপড়া মাকান। আর তাতেই কেল্লাফতে হয়েছে দিল্লিতে।
সিএএ কিংবা শাহীনবাগ কোনটাই নয়। ভোট প্রচারে শুধু চলেছে উন্নয়নের খতিয়ান। স্লোগান উঠেছে মেরা ভোট কামকো সিধে কেজরিওয়ালকো।
সাড়ে চারশোরও বেশি মহল্লা ক্লিনিক, অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনায় আহত কিংবা এসিড আক্রান্তদের বিনা খরচে চিকিৎসা, ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ফ্রি বিদ্যুৎ, মহিলাদের বাসে ফ্রি যাতায়াত, কুড়ি হাজার লিটার পর্যন্ত জল ফ্রি।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন মোদীর গুজরাট মডেলকেঅনুকরণ করে দিল্লির যমুনার তীরে ঝাড়ুর জয় হয়েছে কেজরির নেতৃত্বে।
কিন্তু শুধুই কি কাজ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপিকে ছাপিয়ে যেতে অন্য ফ্যাক্টরগুলিও বেশ কাজ করেছে কেজরিওয়ালের জন্য। কেজরিওয়ালকে লড়তে হয়েছে মোদী-শাহের মত দমদার বিজেপির নেতাদের সাথে। সিএএ কিংবা শাহিনবাগ এর মত বড় ইস্যু নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় হয়েছে। কিন্তু তাতে ঢুকে পড়লে ঝুঁকি থাকছে।সেটা আগাম বুঝেছিলেন কেজরিওয়াল আর সেই জন্য নির্বাচনের মুখে খুব কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছেন তিনি এইসবের। তার টার্গেট ছিল অ-বিজেপির ভোটকে পুরোটাই নিজের দিকে টেনে আনা। তাই একাধিক প্রচারে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেছেন, “ওরা বলছেন আমি আতঙ্কবাদী। আপনারা যদি সেটা মনে করেন তাহলে বিজেপিকে ভোট দিন। আর যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে আপনি যে দলেরই হোন না কেন এবার ঝাড়ুতেই ভোট দিন।” আসলে আপের মূল লক্ষ্য ছিল অ-বিজেপি ভোট যেনো কোনভাবেই কংগ্রেসের হাতে না পরে। কাজ এবং কৌশল দুদিক থেকেই কেজরিওয়াল আবারও বাজিমাত করলেন।