Birbhum, Militant, জঙ্গি যোগে বীরভূমে ধৃত দুই

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৯ মে: বাংলাদেশি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বীরভূম থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল রাজ্যের স্পেশাল টাক্স ফোর্স। শুক্রবার ভোর রাতে তাদের নলহাটি এবং মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনকেই রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তুলে হেফাজতে নেয় স্পেশাল টাক্স ফোর্স।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল আজমল হোসেন এবং সাহেব আলি খান। আজমলের বাড়ি নলহাটি থানার বানিওর সংলগ্ন চণ্ডীপুর গ্রামে। সাহেব আলি মুরারই থানার রুদ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা। সে কলকাতার মেটিয়াব্রুজে জামা কাপড় সেলাইয়ের কাজ করত। আজমল হাতুড়ে চিকিৎসক। শুক্রবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে স্পেশাল টাক্স ফোর্স। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা ভারতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশের জামাতুল মুজাহিদীন বা জেএমবি’র মতাদর্শ করছিল দীর্ঘদিন ধরে। ধৃতরা অত্যাধুনিক মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রদোহী এবং জিহাদি পুস্তিকা প্রচার করে চলেছিল। তারা মুসলিম যুবকদের সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করতে উৎসাহিত করছিল। একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে মৌলবাদী মনোভাব জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। আজমল আগেও জিহাদি কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সক্রিয় যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়াও গাজাওয়াতুল হিন্দ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ, সংগ্রহ এবং বিস্ফোরক তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানকে বেছে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

যদিও আজমলের বাবা পেশায় শিক্ষক জারজেস মণ্ডল বলেন, “ছেলে হাতুড়ে ডাক্তারের প্র্যাকটিস করত গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গিয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এরপর মোবাইল, ল্যাপটপ, এবং কিছু বাংলাদেশি বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। ওই বই রুদ্রনগর গ্রামের একজন দিয়ে যেত। আমার ছেলে নলহাটির হীরালাল ভিকত কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক। গ্রামে কারও সঙ্গে ঝুট ঝামেলা করত না। পড়াশোনা নিয়েই থাকত। কোনদিন বাংলাদেশ যায়নি। তবে রুদ্রনগরের একটা ছেলে মাঝে মধ্যে ছেলের কাছে আসত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *