আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল: এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বড় রায় ঘোষণা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এরফলে ২৫ হাজার ৫৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলকেই এর জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী করে আগামীতে বড় আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, আজ সুপ্রিম কোর্টের যে রায়, তাতে প্রায় ২৬ হাজার, নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি চলে গেল। যারা ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করছিলেন তাদের পরিবার আছে বিয়ে থাও করেছেন। আজ যোগ্য যারা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন শিক্ষক হয়েছিলেন তাদের চাকরিও চলে গেল। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের লোককে অর্থাৎ যারা অযোগ্য, যারা পয়সা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ২৬ হাজার চাকরির বলিদান দিয়ে দিলেন। এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে ২৬ হাজার পরিবার আজ রাস্তায় বসে গেল, এর জন্য যদি কেউ দায়ী থাকে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার দলের নেতা কর্মীরা, যারা লাখ লাখ টাকা নিয়ে ২৬ হাজারের মধ্যে থেকে বেশ কিছুজনের চাকরি তারা দিয়েছিলেন।
সরকারকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিল না? যদি আজ মহামান্য আদালতের সামনে রাজ্য সরকার পৃথকীকরণ করে দিত তাহলে আজ ২৫ হাজার ৫৫৩ জনের চাকরি চলে যেত না। শুধুমাত্র অযোগ্যদের চাকরি চলে যেত আর যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকতো।
রাজ্যকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলের দুষ্কৃতি জোচ্চোরদের জন্য এতগুলো পরিবার রাস্তায় বসলো। আমরা ছেড়ে দেবো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে উৎপাত করব বলে দিচ্ছি। রামনবমী পার হয়ে গেলেই ভারতীয় জনতা পার্টি পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে পথে নামবে।