অভিষেকের জেলা সফরের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফের কিশোরী ধর্ষণ কুশমন্ডিতে, প্রতিবন্ধীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাশঁ ঝাড়ে ফেলে পালালো অভিযুক্ত

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১ মে: অভিষেকের জেলায় প্রবেশের মাত্র চব্বিশ ঘন্টা আগে ফের প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণ। রক্তাক্ত অবস্থায় বাঁশঝাড় থেকে আট বছরের শিশুকে উদ্ধার করলো প্রতিবেশীরা। হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের উদয়পুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পদমাকুড়ি এলাকার। মঙ্গলবার নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে জেলায় আসছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক একদিন আগে সোমবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পরেই রক্তাক্ত ওই শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত।

জানাগেছে, কালিয়াগঞ্জ লাগোয়া কুশমন্ডি ব্লকের পদমাকুড়ি গ্রামটি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। এলাকার বাসিন্দা বছর ৫৮ এর আন্দারু সরকারের বিরুদ্ধেই উঠেছে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ওইদিন ঘুরতে যাবার নাম করে ৮ বছরের ওই নাবালিকা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে সাইকেলে করে নিয়ে যায় আন্দারু সরকার বলে অভিযোগ। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নির্জন এলাকার একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রতিবন্ধী ওই শিশুটিকে লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকে পঞ্চাশঊর্দ্ধ ওই ব্যক্তি বলে অভিযোগ। যার জেরে একপ্রকার রক্তাক্ত হয় এলাকা। অচৈতন্য হয়ে পড়ে শিশুটি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালাতে সক্ষম হয় অভিযুক্ত।

এদিকে ঘটনার পর রক্তাক্ত ওই শিশুটিকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখে কিছুটা আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি জানানো হয় কুশমন্ডি থানার পুলিশকে। যে অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক গ্ৰামবাসী জইনুল আলম বলেন, আমরা মাঠে ছিলাম। অভিযুক্ত আন্ধারু সরকার প্রতিবন্ধী নাবালিকা মেয়েটিকে সাইকেল করে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে আসে। এরপর তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তারা ছুটে এসে প্রতিবন্ধী নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুশমন্ডি গ্ৰামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িতে থাকা চিকিৎসক তাকে স্থানান্তর করেন গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নাবালিকা। ঘটনা জানিয়ে নাবালিকার পরিবার কুশমন্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা চাইছেন অভিযুক্তের ফাঁসি। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুশমন্ডি থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *