সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২৫ জানুয়ারি: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘুরে পাপ করেছি। আজ তাই আবার বাংলার ঘরে ঘরে ঘুরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।’নিজের আত্ম মূল্যায়ন করে এই ভাবেই রঘুনাথপুরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করলেন কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায়। শনিবার, রঘুনাথপুরে দুই সাংসদ বাঁকুড়ার ডাঃ সুভাষ সরকার ও পুরুলিয়ার জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে পাশে নিয়ে সিএএ’র সমর্থনে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন মুকুল। এদিন রঘুনাথপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রঘুনাথপুর ব্লক মোড় পর্যন্ত একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের মধ্য দিয়ে পথে নামেন হাজার হাজার বিজেপির কর্মী-সমর্থক।
মিছিল শেষে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ের কাছে আয়োজিত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন মুকুল। সেখানে এক সময়ের তৃণমূলের হর্তা কর্তা বিধাতা মুকুল রায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনের সারিতে থেকে শপথ নিয়েছেন, নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধীতা করছেন। এটা সংবিধানের বিরুদ্ধে হচ্ছে। নিশ্চিত করে মানুষ এটা ভালো চোখে দেখছেন না। সিএএ আইন হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করে গিয়েছেন। আজকে নাটকবাজি করছেন কেন? আসলে এই নিয়ে সারা বাংলায় একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছেন তিনি।’
এর মধ্যেই খানিকটা আবেগের সঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বড় বড় কথা বলছেন, অনেক উন্নয়ন নিয়ে বলছেন। যে দিন তিনি সরকারে ক্ষমতায় এলেন ঘরে ঘরে মিটিং-এ আপনার সাথে আমরাও বলে বেড়িয়েছি। এত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে সারা বাংলায় ঘুরছি। আপনার সাথে দাঁড়িয়ে বলে এসেছি যে ৩৫ বছরে বামফ্রন্টে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা দেনা করেছে। আর মমতা দিদি আপনার দেনা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ বছরে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।’
মুকুল শাসক দল ও বিরোধী দলগুলোকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরা সিএএ’র বিরুদ্ধে যতই পথে নামুক আর যতই আন্দোলন করুক এটা কার্যকর হয়ে গেছে। এই আইন পশ্চিমবঙ্গে লাগু হয়েই থাকবে। এই আইনে কোথাও লেখা নেই যে কারও নাগরিকত্ব হরণ করা হবে না। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে প্রতারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সারা ভারতে বলবত্ হবে।’ এদিন রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষক নির্মল কর্মকার, পুরুলিয়া জেলা পর্যবেক্ষক বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য সহ জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ও অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।