TMC, Becharam Congress, Sukanta, তৃণমূলের নাম বেচারাম কংগ্রেস করে দেওয়া উচিত! গঙ্গারামপুর বালি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে সরব সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২৭ মার্চ: গঙ্গারামপুরে বালি পাচার চক্র নিয়ে বৃহস্পতিবার সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। বালি পাচারের থেকে উপার্জিত অর্থ তৃণমূলের নির্বাচনী ফান্ডে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি পোস্টও করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

এ প্রসঙ্গে গঙ্গারামপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, তৃণমূল যেখানে যা পায় তাই বিক্রি করে দেয়। এখানে কয়লা নেই তাই এখানে বালি বিক্রি করছে। এরা বেচা ছাড়া কিছু বোঝে না। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক আছেন তার নাম বেচারাম মান্না। তার নাম অনুসারে তৃণমূল দলের নাম বেচারাম কংগ্রেস করে দেওয়া উচিত।

সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে এই পাচারের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো বড় নেতা জড়িত আছেন। এই পাচার চক্রের সঙ্গে প্রশাসন জড়িত বলেও জানতে পারছি। তারাও এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তদন্ত করে অবিলম্বে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকানো উচিত। অবৈধ বালিচক্র নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে হাইকোর্টে গিয়ে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানাবো। আপাতত ডিএম’এর কাছে অভিযোগ পত্র জমা দেবো।

অন্যদিকে সুকান্তবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা সত্যি হলে সেটা নিশ্চয়ই দু-একদিনে হয়নি। গত ৫ বছর ধরে সুকান্তবাবু কেন চুপ ছিলেন? এখন কেন হাইকোর্টে গিয়ে সিবিআই তদন্তের কথা বলছেন? নির্বাচন চলছে বলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন তিনি। আসলে এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বালি পাচারের খবর উত্তরবঙ্গের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপরেই এই নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়।গঙ্গারামপুর শহর সংলগ্ন বানগড়ের উল্টো দিকে পুনর্ভাবা নদীর ঘাটে বিশেষ অভিযান চালায়
বিএলএন্ডএলআরও দপ্তর এবং গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করেনি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *