আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৫ নভেম্বর: উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলা কদমতলা এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ওই এলাকায়। গতকাল মধ্যরাতে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ওই দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
গভীর রাতে যখন তৃণমূল কর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে বাড়ি চলে যায়, তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান ওই কার্যালয়ের ভেতরে টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের ও ঘোলা থানার পুলিশকে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই আগুন নিভিয়ে ফেলে। ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
পানিহাটির তৃণমূল নেতা সোমনাথ দে অভিযোগ করেন, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পার্টি অফিসটি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পার্টি অফিসের সামনে লাগানো দলীয় পতাকাকে পুড়িয়ে দিয়েছে ওরা। তৃণমূলের দেওয়াল দখল নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সোমবার দুপুরে তৃণমূল কর্মীদের একটা গোলমাল হয়, তার জেরেই বিজেপি কর্মীরা রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।”
যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত ঘটনাটি অস্বীকার করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা চণ্ডীচরণ রায়। তিনি বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। গোটা রাজ্যেই ওদের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ওরা নিজেরা নিজেরা গণ্ডগোল করে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। কোনও দলের পার্টি অফিসে অগ্নি সংযোগ বা হিংসায় ভারতীয় জনতা পার্টি বিশ্বাস করে না।” ঘোলা থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।