আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৩ মার্চ: একশো দিনের কাজের প্রাপ্য মজুরি থেকে কাটমানি না দেওয়ায় এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা তথা একশো দিনের সুপার ভাইজারের বিরূদ্ধে। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারাপুর গ্রামের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা একশো দিনের সুপার ভাইজার ফাল্গুনী কোনাই।
বিভিন্ন কারণে কেন্দ্র সরকার একশো দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেই টাকা শ্রমিকদের দিতে শুরু করেছে। সেই টাকা জব কার্ডের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই কাটমানি নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। অভিযোগ, কাটমানির টাকা না দিলে মারধর করা হচ্ছে শ্রমিকদের। রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তারাপুর গ্রামের একাংশ শ্রমিকদের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তারাপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ কোনাইয়ের অভিযোগ, তার মা ও বাবার সঙ্গে তিনি একশো দিনের কাজ করেছিলেন। দিনকয়েক আগে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুরির টাকা ঢুকেছে। তার অভিযোগ, এলাকার একশো দিনের কাজের সুপার ভাইজার ফাল্গুনী কোনাই তার কাছে সেই টাকার কাটমানি দাবি করে। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তাকে চড় থাপ্পড় মারে ফাল্গুনী কোনাই। শুধু রবীন্দ্রনাথবাবুই নন, ফাল্গুনী কোনাইয়ের বিরূদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তারাপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাদের অভিযোগ, একশো দিনের কাজের ৩২৫০ টাকা করে ঢুকেছে। সেখান থেকে ২৭০০ টাকা কাটমানি তুলে দিতে হয়েছে ফাল্গুনী কোনাইকে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাল্গুনী কোনাই। পাশাপাশি তিনি নিজেকে সুপারভাইজার ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলতেও অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি মুদিখানা দোকান চালাই। দোকানে ওদের টাকা বাকি রয়েছে। আমি সেই টাকা চেয়েছিলাম। আমি রাজনীতি করি না, আর সুপারভাইজার ছিলাম না। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে”।