আমাদের ভারত,২৮ ডিসেম্বর: জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারী তথা দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে এরাজ্যে বসবাসকারীও ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, সব দেখে মনে হচ্ছে তৃণমূল সরকার জঙ্গি সাথী প্রকল্প শুরু করেছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুলিশের নজরদারি নেই। কেবল পার্ক স্ট্রিট নয়, সুন্দরবন এলাকার মৌসুমী দ্বীপের একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। বারাসত থেকে ধরা পড়েছে। মধ্যমগ্রাম এলাকা থেকে ধরা পড়ছে। বনগাঁ থেকে ধরা পড়ছে। যেভাবে উগ্রপন্থী কার্যকলাপ পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে প্রত্যেক জেলায় জেলায় তো এবার জঙ্গি সাথী প্রকল্প শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে যেভাবে জেলায় জেলায় পথসাথী প্রকল্প রয়েছে, তেমনি জঙ্গি সাথী প্রকল্প তারা চালু করেছেন মনে হয়।
কাশ্মীরি শাল ওয়ালাদের উপর পুলিশকে নজরদারি করতে বলা হয়েছে সরকারের তরফে, এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাশ্মীরি শাল ওয়ালা জঙ্গি হতে পারে সে সম্ভাবনা তো থাকেই, অস্বীকার করবো না। ভালো কাজ করলে তাকে ভালো কাজের জন্য বাহবা দেব, কিন্তু দেশ সবার উপরে।
বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ মন্ত্রক অফিসিয়ালি তাদের বক্তব্য জানাবে। ভারতবর্ষের সরকার বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, “মাথায় রাখবেন সব কাজ সরকার বলে করে না। ভারত সরকার এমন কাজও করছে যা দেখা যাচ্ছে না কিন্তু তার প্রভাব আপনারা বুঝতে পারবেন।”
বিএসএফের নজরদারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএসএফের নজরদারি চলছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি জায়গায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না থাকার জন্য অসুবিধা হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় জিরো পয়েন্ট কোনটা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখনই এই সীমানা এমন ভাবে টানা হয়েছিল সেখানে অনেক সমস্যা থেকে গেছে। যেখানে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়নি জিরো পয়েন্ট কোনটা। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে আছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ তো সবার উপরে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তো জমিই দিচ্ছে না। ফলে কাঁটাতার দেওয়ার কোনো জায়গাই নেই। তাঁর দাবি, বিএসএফের নজরদারি পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে, কেন্দ্র থেকে নির্দেশ আছে নজরদারি চালানোর জন্য এবং সেই জন্য অনুপ্রবেশকারী ধরাও পড়ছে।