আমাদের ভারত, ১৪ এপ্রিল: লিড দিতে না পারলে পঞ্চায়েত প্রধান বা সমিতির পদ থেকে দলের নেতা কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। এর পাল্টায় বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভয় দেখিয়েই চলছে তৃণমূল। ভয় দেখানোর বাইরে তৃণমূলের কিছুই নেই। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, গঙ্গারামপুরের মিত্র পরিবারই শুধু মাংস খাচ্ছে, তৃণমূলের বাকিরা ঝোল খাবে বা শুধু গন্ধ শুঁকবে।
ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি উঠে আসছে। কিন্তু এই গোষ্ঠী কোন্দল যাতে ভোটে কোনো প্রভাব না ফেলে সে বিষয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তার কেন্দ্রের প্রতিটি জায়গা থেকে যাতে লিড আসে তার জন্য সজাগ থাকার কথা বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচনে যদি লিড না আসে তাহলে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, এমনকি বিধায়ককে পরদিনই পদত্যাগ করতে হবে। অথবা সরকারি ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়ে সরিয়ে দেওয়া হবে।”
গঙ্গারামপুরে দলীয় সভায় বিপ্লব মিত্রের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভয় দেখানোর বাইরে তৃণমূল কংগ্রেসের আর কিছুই নেই। কাউকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভয় দেখাচ্ছে, তো কাউকে সিএএ’র ভয় দেখাচ্ছে। বিপ্লবদা যেটা বলেছেন সেটা ভাওতা। আড়াই বছর না হলে প্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির কোনো সদস্যকেই সরানো যায় না। এটা হয়তো বিপ্লবদা জানে না। আমি হলেও সরাতে পারবো না। সবটা তো আইন মেনে হবে। এখন ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের সবটাই মিত্র পরিবারে যায়। বাকি নেতারা কিছুই পায় না। মাংস খায় মিত্র পরিবার, আর ঝোল পায় বাকিরা। আগামীতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কপালে ঝোল টুকুও জুটবে না। গন্ধ শুঁকে থাকতে হবে।