পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ অক্টোবর: দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। একাধিকবার সুযোগ পেলেও দল তাঁকে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়নি। প্রতিবারই অন্যের হয়ে লড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবার মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সুজয় হাজরাকে এই উপ নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ঘোষণার পরেই অনুগামীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে যায় মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের সামনে। আটকে রাখা উচ্ছ্বাস আতশবাজি পুড়িয়ে প্রকাশ করা শুরু করে দেন সুজয় হাজরার তৃণমূল কর্মী অনুগামীরা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা পুরনো তৃণমূলের কর্মী। ২০১১ সাল থেকে একের পর এক জেলাজুড়ে নির্বাচনে প্রার্থীদের সহযোগিতা করে এসেছেন লড়াই করতে। তেরো বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে নেতা- কর্মীদের জিতিয়ে সুদক্ষ সেনাপতি হিসেবেই রয়ে গিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো সাংসদ পদ পাবেন মেদিনীপুর লোকসভার জন্য। কিন্তু তা হয়নি। দল জানিয়ে দিয়েছিল-প্রার্থী হবেন বিধায়ক পদ ছেড়ে আসা জুন মালিয়া। তাকে সহযোগিতা করতে হবে সুজয় হাজরাকে। এরপর জুন মালিয়া জয়ী হলে তারপর ভাবা হবে সুজয় হাজরার কথা। দলের সেই নির্দেশ মেনে অবাধ্য সৈনিকের মত কাজ করেছিলেন সুজয় হাজরা গত লোকসভা নির্বাচনে। জয়ীও হয়েছিলেন জুন মালিয়া। অবশেষে তার পুরস্কার দিল দল। জুন মালিয়ার ছেড়ে যাওয়া মেদিনীপুর বিধানসভার আসনে উপনির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে সুজয় হাজরার।
রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সেই ঘোষণার পরেই সুজয় হাজরার অনুগামী তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের সামনেই রাস্তার উপর আতশবাজি ফাটানো শুরু করে। ফুলের তোড়া, ফুলের মালা নিয়ে অনেকেই হাজির হয়ে যান সুজয় হাজরাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। সুজয় হাজরা বলেন, “কোনো নির্বাচনে আমি লড়িনি এটা ঠিকই। কিন্তু নির্বাচনী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছি। অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোটার তথা সাধারণ মানুষ জানেন তাদের পাশে কারা ছিল। বিরোধীদের কোনো কুৎসা কাজ করবে না। মেদিনীপুর লোকসভার মতো মেদিনীপুর বিধানসভাতেও জয় লাভ করবে তৃণমূল।”