আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের অভিযোগ তুলে সোমবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে, এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যের নির্বাচনী আবহে অযথা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুবাবু ঘৃণাভাষণ দিচ্ছেন, সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন– এমনই বিবিধ অভিযোগ তুলে তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা ও জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, শুভেন্দুকে ‘সেন্সর’ করুক কমিশন।
প্রসঙ্গত, শনিবার তালড্যাংরায় বিজেপির হয়ে প্রচার করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ”বাংলাদেশের ছবিগুলি দেখেছেন তো? ৫৯৬টি মন্দির ভেঙ্গেছে। হিন্দুদের উপর কী অত্যাচার করেছে! এবার পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করতে চায়।” তৃণমূল মূলত ওই মন্তব্যে আপত্তির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সেই ভাষণে শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বলে মনে করছে তৃণমূল।
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী প্রচার থেকে প্ররোচনা মূলক বক্তব্য রেখেছেন। বাংলায় যা ঘটছে তা আমাদের জানা নেই, তবে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য রেখে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের চেষ্টা করছেন। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। পুরো বক্তব্য আমরা পেনড্রাইভের মাধ্যমে জমা দিয়েছি।”
সামনেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সোমবার বিকেলে প্রচার শেষ। তার ঠিক আগে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ প্রাক নির্বাচনী উত্তাপ কিছুটা বাড়িয়ে দিল বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।