আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিষাক্ত স্যালাইন কান্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। চাপে পরে রাজ্য সরকারের তরফে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো শুরু হয়েছে তদন্ত। বিরোধীরা শাসক দলকে এই ইস্যুতে আক্রমণ করতে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি নেতা বলেন, আরজিকর কান্ডের সময় ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিপুল দুর্নীতির তথ্য সামনে উঠে এসেছিল। আর এই ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছে। সামনে এসেছিল যে স্বাস্থ্য দপ্তরের বড় মাথা এতে জড়িয়ে থাকতে পারে। মনে রাখতে হবে এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে উপরে বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দপ্তরেই চুরি দুর্নীতি হয়ে যাচ্ছে।
সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন, চুরি ছাড়াও ভেজাল ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মেডিকেল কলেজগুলিতে। এই নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিকিৎসকরা চিঠিও পাঠিয়েছিল। প্রসূতিদের যে ইনজেকশন দেওয়া হয় অনেক সময় দেখা গিয়েছিল ইনজেকশন দেওয়ার পর মৃত্যু হচ্ছে, যে কারণে ওষুধের উপর সন্দেহ প্রকাশ করে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমজনতার কি সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে ওনার ভাইপোর জন্য তো আমেরিকা আছে। চোখের সমস্যার জন্য আমেরিকায় যায় সে।
সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, মমতা ব্যানার্জির আমলে ঘুষ দিলে সবটাই করা সম্ভব। কয়েক দিন পর দেখব টিউবলের জল নিয়ে ইনজেকশন বলে বিক্রি করে দিলেও, এ সরকার কিনে নেবে।