আশিস মণ্ডল, বোলপুর, ৮ মে: “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাতিষ্ঠানিক চোর, তার সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট”। বুধবার বোলপুর শহরে দলীয় প্রার্থী পিয়া সাহার হয়ে রোড শো করার আগে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বীরভূম লোকসভার প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচার করতে মঙ্গলবার বীরভূমে আসেন সুকান্ত মজুমদার। রাতে তারাপীঠে পুজো দিয়ে বোলপুরে ফিরে যান। বুধবার সকালে বোলপুরের জামবুনি এলাকায় কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর দলীয় প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে পথে নামেন।
এসএসসি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার বলে দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চুরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এসএসসি। যার প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মানে সুপ্রিম কোর্ট মমতাকে পাকাপাকি ভাবে চোরের তকমা লাগিয়ে দিল”।
মুখ্যমন্ত্রীর বাঙালি প্রেম নিয়ে সুকান্ত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বাঙালি সেন্টিমেন্ট- এর মিথ্যা রাজনীতি করে। ভোটের আগে বাঙালি বলে, ভোট পার হয়ে গেলে বাঙালি লোকেদের সরিয়ে দিয়ে কখন অসমিয়া, কখন গোয়ার লোকেদের রাজ্য সভার সাংসদ করে পাঠান। বাংলার মেয়ে অর্পিত ঘোষকে ভোটের আগে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ভোট শেষ হতেই তাকে সরিয়ে অহমিয়া মেয়েকে তার জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হল। গোয়া থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতাকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছেন। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালি রাজনীতি পুরোটাই ভোট ব্যবসার জন্য”।
বিশ্ব ভারতীতে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমি কতবার এসেছি? কিন্তু দেখুন রাজ্য সরকার অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নেতারা গিয়ে বৈঠক করছেন, মাল কমানোর ব্যবস্থা করছেন। এমনকি আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি, বর্তমানে লিয়েনে আছি সেখানে ওয়েবকুটার সঙ্গে বৈঠক করেছেন”।