সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৮ মার্চ: গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে দীর্ন দলের মূমূর্ষূ অবস্থার কথা স্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী কি নিজেই বিপাকে পড়লেন? এই চর্চা এখন বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহলে।গতকাল সন্ধ্যায় বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি এক কর্মিসভায় এই স্বীকারোক্তি করে বলেন, দলের এই মূমুর্ষূ অবস্থায় আমি দলের মধ্যে কোনও বিভাজন চাই না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অনেক কর্মী অভিমান করে সরে গেছেন, কেউ কেউ বিজিপিতে যোগ দিয়েছে। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে কাজ করতে চান, এখন মান অভিমানের সময় নয়, দলের এই অবস্থায় সবাই একযোগে কাজ করুন। দরকার হলে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইবো।আবেগ তাড়িত হয়ে অরূপবাবু দলের সত্য অবস্থা তুলে ধরেছেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোড় খাওয়া নেতা বলেন, প্রতিটি ব্লকেই এখন দু’ থেকে তিনটি গোষ্ঠী। একটি গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর পেছনে লেগে রয়েছে। কোথাও আবার গোপনে বিরোধী দলের সাথে আঁতাত করে বিপাকে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন দুর্নীতি কান্ডে দলীয় নেতা মন্ত্রীদের জড়িয়ে পড়া, জেল হাজত ইত্যাদিতে নীচু তলার কর্মীদের মনোবল ভেঙে গেছে, সাধারণ মানুষও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দল এখন একটা সংকট জনক অবস্থায়। একথা নতুন করে বলার নেই। অরূপদা সত্য কথাটা ব্যক্ত করেছেন কর্মীদের কাছে। এটা লিক হয়ে গোলমাল হয়েছে।
এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার গত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন।হিন্দুত্বের গড় হিসাবে পরিচিত বাঁকুড়া লোকসভা আসনটি ধরে রাখতে সুভাষবাবু আত্মবিশ্বাসী। অরূপবাবুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল কি ভোটের আগেই হার স্বীকার করছে।