পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ২৬ জানুয়ারি:
শালবনিতে তৃণমূলে ভাঙন। দলের অঞ্চল কমিটির সদস্য এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি বিজেপিতে যোগ দিলেন।
শালবনিতে এক অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের ২ নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চল কমিটির সদস্য দীপক হাঁসদা এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি ফটিক মাহাতো। এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি সমিত দাস, জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস এবং শঙ্কর গুছাইত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা।
জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুচ্ছাইত বলেন, “আগামী দিনে জঙ্গল মহলে তৃণমূলের পতাকা ধরার কোনো লোক থাকবে না। আমাদের এখনও অনেক খেলা বাকি আছে। তৃণমূল এবার খেলা দেখবে।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সন্দীপ সিং দলত্যাগী অঞ্চল কমিটির সদস্য সম্পর্কে বলেন, “দীপক হাঁসদা তৃণমূলের কোনো কর্মীই নয়, কেউ চেনেই না! আর যুব তৃণমূলের সভাপতি ফটিক মাহাতো সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “ফটিক মাহাতো ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসে ছিল, তার পর থেকে কোনো রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিটিতে থাকেনি। তাই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই তাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আসলে ওরা জঞ্জাল, ওদল এদলে ঝাঁপাতে থাকে। এই সমস্ত মানুষগুলো তৃণমূল থেকে চলে গেলে মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপি কাদের আস্তানা হচ্ছে।”
“আগামী দিনে জঙ্গল মহলে তৃণমূলের পতাকা ধরার কোনো লোক থাকবে না,” জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুচ্ছাইতের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সন্দীপ সিং-এর কটাক্ষ, “বিজেপি ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পর থেকে ২০২১ পর্যন্ত অনেক কিছু দেখিয়েছিল। তারা চ্যাটার্ড ফ্লাইট ভাড়া করে দল বেঁধে এখান থেকে নিয়ে গিয়েছিল। আর আজকে তাদের বিধায়ক আমাদের নেতার সাথে দেখা করতে লাইন দিয়ে বসে থাকছে, তার ছবি প্রকাশিত হচ্ছে৷”