আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৪ মার্চ: বিজেপি কর্মীর বৈঠকে আচমকাই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার অন্তর্গত মটেরদিঘি দাস পাড়া এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন সুব্রত দাস ও বিভাস মন্ডল নামে দুই বিজেপি নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আহত দুই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে মটেরদিঘি প্রাথমিক হাসপাতাল ও পরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
যদিও এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ঘটনায় কোনো রাজনীতি নেই। বরং বিজেপি কর্মীরাই তাঁদের তিন কর্মীকে মারধর করেছে। আহতরা কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকালে বিজেপির মন্ডল সভাপতি ভানু দাসের বাড়িতে কর্মী বৈঠক ছিল বিজেপির। সেই বৈঠকে আসার সময় আচমকাই এলাকার তৃণমূল নেতা হোসেন শেখের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এলাকায় বিজেপি দল করা যাবে না। বিরোধী দল করলেই তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হামলা চালানো হয় একই ভাবে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।
অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় কোনো রাজনীতি নেই, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এই ঝামেলা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। বিজেপি কর্মীদের মারে তাদেরও তিন কর্মী জখম হয়েছেন। এ বিষয়ে দু’পক্ষই জীবনতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার
হয়নি।