আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৯ ডিসেম্বর: শীলভদ্র দত্ত “অপবিত্র”, তাই গঙ্গাজল দিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস সংলগ্ন রাস্তা পবিত্র করল তৃণমূল কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, শীলভদ্র দত্তের বিজেপিতে যোগদান তৃণমূলের জন্য শুভ। তাই শীলভদ্র দত্ত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আনন্দিত ব্যারাকপুরের তৃণমূল কর্মীরা। তারা শীলভদ্র দত্তের ব্যারাকপুর অফিস সংলগ্ন রাস্তা গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিলেন। মন্ত্র পাঠ করতে করতে তৃণমূল কর্মীরা সকলে ঘটি করে গঙ্গা জল এনে বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের ব্যারাকপুরের অফিসের সামনে ঢেলে রাস্তা পরিষ্কার করে দেন।
শীলভদ্র দত্ত ব্যারাকপুরের ২ বারের জয়ী তৃণমূল বিধায়ক। তিনি ২০০৬ সালে কংগ্রেস থেকে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন। শনিবার অমিত শাহের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ব্যারাকপুরের তৃণমূল কর্মীরা কার্যত খুশী বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ব্যারাকপুরের বিধায়কের কোনও সংগঠন নেই।
এদিন শীলভদ্র দত্তের অফিস সংলগ্ন এলাকাটি গঙ্গার জল দিয়ে পরিষ্কার করে করে ধুয়ে দিয়ে তাদের বক্তব্য, “আপদ বিদায় নিল। শীলভদ্র দত্ত অপবিত্র মানুষ ছিল, সে বিজেপিতে যাওয়ায় গঙ্গার জল ঢেলে জায়গাটি আমরা পবিত্র করে দিলাম।” ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক উত্তম দাস বলেন, “উনি দিদির দয়ায় বিধায়ক ছিলেন। দিদির ছবি ছাড়া এই ব্যারাকপুরে কেউ কাউন্সিলর ভোটও জিতবেন না। উনার সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ছিল না। গত ১০ বছরে ব্যারাকপুরের জন্য এমন কিছু করেনি, যে মানুষ উনাকে মনে রাখবে। উনি দল ছেড়ে যাওয়ায় দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। উনি দলে থেকে বরং দলের ক্ষতি করেছেন। দলের গোপন মিটিংয়ের খবর বিজেপিকে দিয়ে দিত। আমরা দলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছিলাম সে কথা। তবে দল তখন আমাদের কথায় আমল দেয়নি। আমরাই যে সত্যি বলেছি, আজকে তা প্রমাণিত হয়েছে। উনি যাওয়াতে দলের কর্মীরা খুশী। দলে কোন প্রভাব পড়বে না।”