আমাদের ভারত, ৭ জানুয়ারি:৪৩দিনে পড়ল কৃষকদের আন্দোলন। হাড় হিম করা ঠান্ডা, বৃষ্টি, করোনা কোন কিছুই কৃষক আন্দোলনকে থামাতে পারেনি। কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাদের স্পষ্ট বার্তা সরকারের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই আন্দোলনের গতিপথ কিছুটা পাল্টেছেন তারা। প্রতিবাদ স্বরূপ আজ কয়েক হাজার ট্রাক্টর নিয়ে রাজধানী ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছিলেন তারা। তাদের ধারণা সরকারকে চাপে ফেলতে এই পন্থা কাজে লাগতে পারে।
আগামীকাল সরকারের সঙ্গে অষ্টম দফায় বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তার আগেই সরকারের উপর চাপ তৈরি করে রাখতে চাইছেন তারা। আর সেই জন্যেই আজ ট্রাক্টর মিছিলের ডাক দেন কৃষকরা। আজকের মিছিলকে আন্দোলনকারি কৃষকরা ২৬ জানুয়ারিতে তাদের ডাক দেওয়া ট্রাক্টর মিছিলের মহড়া বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আজকে মিছিলের মহড়া হয় দিল্লি গামী ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস ওয়েতে। এরফলে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানী।
সিংঘু, টিকরি, গাজীপুর, শাজাহানপুর সীমান্তে কয়েক হাজার ট্রাক্টর এসে জড়ো হয়েছিল গতকাল থেকেই। হরিয়ানা, রাজস্থান সীমান্তেও কয়েক হাজার ট্রাক্টর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কৃষকরা। কুণ্ডলী মানেসার পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এদিন ট্রাক্টর মার্চ হয়। ফলে এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এদিন দিন বন্ধ ছিল সকাল থেকেই।
কৃষক সংগঠনগুলির জানিয়েছিল সরকার তাদের দাবি না মানলে ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিল করবেন তারা। তাদের দাবি আজকের মিছিল শুধু তার মহড়া ছিল। সেদিনের মিছিল আরো বড় হবে। হারিয়ানা কিষান সংগঠনগুলি প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত ১০ জন করে মহিলাকে ২৬ জানুয়ারির দিল্লিতে আসার আহ্বান জানিয়েছে। ঐদিন আড়াই হাজার ট্রাক্টর রাজধানীর পথে নামবে বলে জানা যাচ্ছে। হরিয়ানাতেও মিছিল হবে। এদিকে আন্দোলন চলাকালীন ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।