অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৮ জানুয়ারি: “বাম আমলে ইংরেজি শিক্ষা তুলে দিয়েছিল, আমরা চালু করেছি”। সোমবার কলকাতায় রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক অনুষ্ঠানে এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামাজিক মাধ্যমে একটি সংবাদ চ্যানেলে এই খবর আসার পর প্রচুর প্রতিক্রিয়া এসেছে। প্রায় সবেতেই মন্তব্য নেতিবাচক। মৌসুমী পাল লিখেছেন, “তাহলে হয়ে যাক এবার, দুয়ারে ইংরেজি।” মণিদীপা দে লিখেছেন, “ঠিক, ইংরেজিটা তুলেছিল, কিন্তু বাকিগুলো সব ঠিক ছিল আর তৃণমূল আমলে শিক্ষা টাকেই তুলে দিয়েছেন।”
অম্লান রায় লিখেছেন, “শিক্ষা দপ্তরটাই তো জেলে, আহা কি উন্নয়ন।” ক্ষমাময় দাস লিখেছেন, “এখন তো গোটা শিক্ষা দপ্তরটাই জেলে!” অজিত কুমার দাস লিখেছেন, “আর আপনার আমলে শিক্ষাটাই তুলে দিলেন, আপনার মানসন্মান বোধ নেই বলে অন্যান্য দলের কথা বলেন। যদি সেটা থাকতো তবে পদত্যাগ করতেন।”
সুজিত সিনহা লিখেছেন, “তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে শিক্ষিত যুবক যুবতীরা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে সমাজের কাছে।” রাজকুমার দাস লিখেছেন, “বাম আমলে সমস্ত ডিপার্টমেন্টে নিয়োগ হতো, গরিবরা চাকরি পেতো, আর আপনি …….”।
স্মৃতির শহরে ডুব দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘টাকা ছিল না, গলার মটর মালার হার বিক্রি করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম..’। প্রতিক্রিয়ায় বুদ্ধদেব গায়েন লিখেছেন, “মিথ্যা কথা”। দেবজিৎ মজুমদার লিখেছেন, “তাই এখন ভাইপোর বউকে দিয়ে সোনা পাচার করায়।” সঞ্জয় মিত্র লিখেছেন, “হাতের ঘড়িটা সেদিনের মটর মালার থেকে দামি।” মনোজ দাশগুপ্ত লিখেছেন, “ঢপের রানী।”
রঞ্জন সরকার লিখেছেন, “পিসি গর্বের সাথে বলুন আমরা চোরের দল, আমরা তৃণমূল, আমরা চোর। আমাদের দলকে আগামী দিনে সর্বভারতীয় বৃহত্তম চোরেদের সংগঠন হিসেবে উপস্থিত করবো।” বিশ্বনাথ সিং লিখেছেন, “দূর হ দূরে যা!”