আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর: “অভয়ার জন্য ন্যায়বিচারের নামেও তোলামূলের কাটমানি উপার্জনের পন্থা?” সোমবার এই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক্সবার্তায় তিনি লিখেছেন, “ঘূর্ণি ঝড় হোক বা বন্যা, বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়, সঙ্কটকালে কাটমানি খেতে তৃণমূল বরাবরই সিদ্ধহস্ত। এবার রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলিতে মহিলা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য সিসিটিভি লাগানো নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে গত কয়মাস, অবশেষে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে তা কার্যকর করতে নির্দেশও দিয়েছেন। রাজ্য সরকার একপ্রকার বাধ্য হয়েছে নির্দেশ কার্যকর করতে।
‘রাতের সাথী’ প্রকল্পের অধীনে সেই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং রাজ্য মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন এই বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে, কিন্তু সিসিটিভি লাগানোর খরচ দেখলে চমকে যাবেন:-
ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল:- ১৯৫টি সিসিটিভির জন্য দরপত্রে ধার্য্য মূল্য – মাত্র ৩,২২,৫২,৯২৩/- (তিন কোটি বাইশ লক্ষ বাহান্ন হাজার নয়শ তেইশ) টাকা, অর্থাৎ একটি সিসিটিভি লাগানোর জন্য খরচ – মাত্র ১,৬৫৪০০/- (এক লাখ পঁয়ষট্টি হাজার চারশ)টাকা
প্রফুল্ল চন্দ্র সেন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল; আরামবাগ:-
৫০টি সিসিটিভির জন্য দরপত্রে ধার্য মূল্য মাত্র ১,৭৫,৯৮,৭৩৯/- (এক কোটি পঁচাত্তর লাখ নিরানব্বই হাজার সাতশ ঊনত্রিশ) টাকা। অর্থাৎ একটি সিসিটিভি লাগানোর জন্য খরচ – মাত্র ৩,৫১,৯৭৪/- (তিন লাখ একান্ন হাজার নয়’শ চুয়াত্তর) টাকা।
গোটা রাজ্যের মানুষ জানে মমতা ব্যানার্জি আর তার সরকার সীমাহীন দুর্নীতির পাঁকে নিমজ্জিত কিন্তু এই অবিশ্বাস্যকর চমকে দেওয়া দরপত্র সব দুর্নীতিকে ছাপিয়ে গিয়েছে।”