সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ নভেম্বর: কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল দাদুর বিরুদ্ধে। আর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার চাঁদা এলাকায়। থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম শংকর বিশ্বাস। দাদুর এই ‘কীর্তি’তে অসুস্থ হয়ে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি ওই কিশোরী। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মায়ের মৃত্যুর পর থেকে বনগাঁর চাঁদা এলাকায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বাড়িতে থাকত দুই কিশোরী নাতনি। কিন্তু রক্ষকই যে এখানে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তারা। ধীরে ধীরে দাদুর আচরণ পাল্টাতে থাকে।অভিযোগ, বছর চোদ্দর নাতনিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর শারীরিক ভাবে লিপ্ত হতো দাদু। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, এসব কথা কাউকে বললে তাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। আশ্রিতা কিশোরী ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু রবিবার দুপুরে আচমকাই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবার, প্রতিবেশীরা তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতেই পাড়ার এক মহিলাকে দাদুর ‘কীর্তি’র কথা সবিস্তারে জানায় কিশোরী। এর পর ওই প্রতিবেশীর তৎপরতায় বনগাঁ থানায় দাদু শংকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নাতনিকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে শংকরকে আটক করে, পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরীর চিকিৎসার জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দাদুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে।