আমাদের ভারত, ১৫ ডিসেম্বর: যখন বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চলছে, তখন এপার বাংলায় লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হলো। আর সেই মঞ্চ থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠল। রবিবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন কাওয়াখালি কুরুক্ষেত্র ময়দানে সনাতনীদের উপস্থিতিতে লক্ষাধিক মানুষের গলা ধ্বনিত হলো ভগবত গীতা। আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বললেন, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হিন্দুদের সজাগ হতে হবে।
পুরো উত্তরবঙ্গ তো বটেই, সারা ভারত থেকে এদিনের অনুষ্ঠানে এক হাজার একশো জন বিশিষ্ট সাধু এসেছিলেন। নভেম্বর মাসের সনাতনী সংস্কৃতি সংসদ জানিয়েছিল, এই মেগা গীতা পাঠের অনুষ্ঠান হবে। সেই মতো তারা সমস্ত কিছুর আয়োজন করেছিল শিলিগুড়িতে।
রবিবারে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির একঝাঁক প্রথম সারির নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিধানসভার মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল সাজো সাজো রব। সকাল থেকে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন যানবাহনে ভক্তরা উপস্থিত হন কুরুক্ষেত্র ময়দানে।
এখানেই সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হলে হিন্দুদের সজাগ হতে হবে। ফিরহাদ হাকিমের সংখ্যালঘু মন্তব্যকে একহাত নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ফিরহাদ হাকিমের মনে যা ছিল সেটাই মুখে বলেছেন। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ। তাঁর দাবি এটা আসলে তৃণমূলের সব মুসলিম নেতাদের মনের কথা। তারা এটাই চান।
আজ অনুষ্ঠানের আবহে এসে তিনি বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান। সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে মুসলিম বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে কেউই সুখে নেই। তার উদাহরণ পাকিস্তান আর বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এই কারণেই হিন্দুদের জাগতে হবে। তাঁর কথায়, ভগবত গীতা বিশ্ববাসীর জন্য ভারতের দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে কলকাতায় ব্রিগেড ময়দানেও এই গীতা পাঠ গিনিস বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছিল।