পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৮ আগস্ট: বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম পৌছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ৯ আগস্ট ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এদিন ঝাড়গ্রাম ঢোকার মুখে ঝাড়গ্রাম শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ কন্যা গুরুকুলের সন্ন্যাসী ও শিক্ষিকাদের দেখে গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রথমেই শিক্ষিকাদের জিজ্ঞেস করেন আজ স্কুল ছুটি তো? উত্তরে শিক্ষিকারা জানান, হ্যাঁ মিড ডে মিল খাইয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর তারা কেমন আছে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলের পক্ষ থেকে একটি দাবি পত্রও তুলে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। বিষয়টি দ্রুত দেখার আশ্বাস দেন তিনি। তারপর সেখান থেকে রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সের মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি যাওয়ার সময় টুরিস্ট কমপ্লেক্স ঢোকার মুখে জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
উপস্থিত ছিলেন, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বীরবাহা সরেন টুডু, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রবিন টুডু, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো, তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল দত্ত সহ একাধিক নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুকে নির্দেশ দেন সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে সংগঠনকে আরো মজবুত করার জন্য।
দুলাল মুর্মু বলেন, “আমাদের নেত্রী সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে সংগঠনকে মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন”। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়েছিলেন ভারতীয় মুন্ডা সমাজের নেতৃত্বরা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের দেখে তাদের ডেকে পাঠান এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। মুন্ডা সমাজের উন্নয়নের জন্য পৃথক মুন্ডা ডেভলপমেন্ট বোর্ড গঠনের দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয় মুন্ডা সমাজের পক্ষ থেকে। ভারতীয় মুন্ডা সমাজের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক নবীন চন্দ্র সিং বলেন, “আদিবাসী, কুড়মি, লোধাদের উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। আদিবাসীদের মধ্যে সাঁওতালের পর আমরাই দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। আমাদের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য পৃথক মুন্ডা ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা এখন খুশি”।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই উদ্বোধন হচ্ছে ঝাড়গ্রামের নতুন জেলা কালেক্টরেট ভবন। এছাড়াও জেলায় ২৪৬ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম ও লোধাশুলিতে কুড়মি ভবন সম্প্রসারণ হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী ১৫৮টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেবন। এরজন্য খরচ হবে ৭৭ কোটি ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। ২৯৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরজন্য খরচ হয়েছে ১৬৮ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।