আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৯ জানুয়ারি: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়ে গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাসিরুল জামান মোল্লা ওরফে বকুলের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে কু-প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন মহিলাও। তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পাইকর থানার নয়াগ্রামে। ওইদিন মিত্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হচ্ছিল। কার্ড করানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন নয়াগ্রামের মহিলা। লাইনের মধ্যেই তৃণমূলের মিত্রভূম অঞ্চল সভাপতি বাসিরুল জামান মোল্লা ওরফে বকুল তাকে কু-প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি স্বামীকে জানানো হলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এরপরেই স্বামীকে মারধর শুরু করে বকুল।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই মহিলা বলেন, “প্রায় দিন আমাকে বাড়িতে গিয়ে কু-প্রস্তাব দিত। কিন্তু ওর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে স্বাস্থ্যসাথী লাইন থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি আমি স্বামীকে জানালে তিনি প্রতিবাদ করেন। সে সময় বকুল স্বামীকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। আমি স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। আমার মুখে, বুকে মারে। এলাকার মানুষ আমাদের বাঁচায়”।
ওই মহিলার স্বামী বলেন, “আমি কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকি। দিন কয়েক আগে এসেছি। এসেই স্ত্রীর মুখ থেকে সমস্ত কথা শুনি। তারপর আমি প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করে। এমনকি ওরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়”।
ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বকুল। তিনি বলেন, “আমি রামপুরহাটে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি পঞ্চায়েতে বড় লাইন। অন্যগ্রাম থেকে ওই মহিলা এসে লাইন দেওয়ায় তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওকে আগে আমি চিনতাম না। ওরা এখন বিজেপি করছে। তাই মিথ্যা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে”।