স্নেহাশিস মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৮ জানুয়ারি:
শান্তিপুরে তৃণমূল কর্মী শান্তনু মাহাতো খুনের ঘটনায় গ্রেফতার শান্তিপুরের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা কুমারেশ চক্রবর্তী। আজ ধৃতকে রানাঘাট আদালতে তোলে পুলিশ। এই নিয়ে এই খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। শান্তিপুরের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, শান্তিপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান অজয় দে চক্রান্ত করে তাঁকে সান্তনু মাহাতোর খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে দিয়েছে।
ছবি: নিহত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী।
গত ১৪ তারিখ দুপুর বেলায় শান্তিপুরের বড় বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে শান্তনু মাহাতো নামের এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই খুনের ঘটনার পরের দিন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য সহ ১১ জনের নামে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৃতের স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা কুমারেশ চক্রবর্তী কে আটক করে পুলিশ। পরে গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ছবি: নিহত তৃণমূল কর্মী।
পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে জানান, এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। যারা সারাজীবন চক্রান্ত করে তারা কিছু ঘটনা ঘটলেই চক্রান্তেরই গন্ধ পায়। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ায় শান্তিপুরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে । পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক এবং যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত ও খুনের চক্রান্ত করেছে তাদের খুঁজে বার করুক। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক।