আমাদের ভারত, আরামবাগ, ৬ মার্চ: তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলীর আরামবাগ। এই ঘটনায় তিনজন বিজেপি এবং তৃণমূলেরও বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। বিজেপি নেতা কর্মীদের বেশ কয়েক জনের বাড়িও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার এক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটে হুগলীর আরামবাগের রতনপুর এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরামবাগ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় উপস্থিত হন। পরে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের কর্মী সুনীল মন্ডল সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল সেই সময় বিজেপির লোকজন তাকে ধরে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধর করে।তৃণমূলের আরও অভিযোগ, তাদের কয়েকদিন ধরেই পতাকা ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, তাদের বিজেপি নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তৃণমূল লোকজনেরাই বিজেপি নেতা কর্মীদের মারধর করে মিথ্যা কেস দিয়ে পুলিশকে দিয়ে তুলে নিয়ে দিচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত, রতনপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উত্তাপের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি ও তৃণমূলের লোকজনদের সাথে বচসার সৃষ্টি হয়। বচসা থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরই শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। এই ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির বেশ কয়েকজন আহত হয়।বিজেপি নেতা কর্মীদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহতদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই ঘটনার পর আজ সকালে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমাদের কিছু কর্মী সমর্থকদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের বেশকিছু লোকজন। তাদের মারধর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। অনেক কর্মীরা ঘর ছাড়া আছে। তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে জানিয়েও পুলিশ কোনো কাজ করেনি। অথচ বিজেপির কর্মীদের নামে মিথ্যা কেসে পুলিশকে দিয়ে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল। মানুষ এর জবাব দেবে ২০২১ এর ভোট বাক্সে।
আরামবাগে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কমল কুশারী বলেন, গতকাল রাতে বিজেপির লোকজন আমাদের তৃণমূল কার্যালয় ভাঙ্গচুর করে এবং আমাদের কর্মীদের মারধর করে। উল্টে বিজেপি তৃণমূলের নামে মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে।