অবরোধকারীদের হাতে আক্রান্ত শাসক দল বীরভূমে

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৫ ডিসেম্বর: এবার অবরোধকারীদের হাতে আক্রান্ত হল শাসক দল। এনআরসি ও ক্যাবের প্রতিবাদে জাতীয় সড়কে অবরোধ স্থল থেকে উন্মত্ত জনতা শাসকদলের সভা মঞ্চ ভাঙ্গচুর করে মিছিল করে লোহাপুর রেল স্টেশনে ভাঙ্গচুর, লুঠপাঠ, মারধর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়। কাঁটাগড়িয়া মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বেলা দুটো থেকে চলে অবরোধ। সাধারণ মানুষের অবস্থা নাজেহাল। অন্যদিকে, উন্মত্ত জনতা নলহাটির লোহাপুর স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউ দাউ করে জ্বলছে স্টেশন। চলে লুঠপাঠ, মারধরের ঘটনা।

লোহাপুর স্টেশনের বুকিং সুপারভাইজার শ্যামল সাউ বলেন, তিন দিনের ক্যাশ ৩৫ হাজার টাকা লুঠ করে নেয়। রেলের এ্যসেট বলে কিছু নেই। জানাগেছে, রেল লাইনেও ভাঙ্গচুর চালিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে। তদন্ত হয়েছে। 

অন্যদিকে, কাঁটাগড়িয়া মোড়ে  তৃণমূলের ঘোষিত সভা ছিল। সভা শুরু হতেই, সভা মঞ্চের সামনে উন্মত্ত জনতা জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সভা বন্ধ করে দেয়। তারপর উন্মত্ত জনতা সভা মঞ্চে উঠে জেলা তৃণমূল সম্পাদককে ধ্বস্তাধ্বস্তি করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়। মঞ্চ ভাঙ্গচুর করে। জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের ঘোষিত সভা ছিল কাঁটাগড়িয়া মোড়ে। তার আগে জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে। সেখানে কিছু বহিরাগত লোক ঢুকে পড়ে। যার জেরে যা হয় তাই হয়েছে। তবে তেমন কিছু ঘটেনি। পূর্ব রেলওয়ে
জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তীকে এ ব্যাপারে ফোন করা হলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন,  তৃণমূলের মিছিল থেকে উন্মত্ত জনতা মিছিল করে এগোতে থাকে। তারা কোটাসুর বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালায় পুলিশের উপস্থিতিতে।

অন্যদিকে, জেলা জুড়ে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ মিছিল চলে। রামপুরহাট, বোলপুর, সিউড়ি, নলহাটি সর্বত্র শাসকদল এনআরসি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *