আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৫ ফেব্রুয়ারি: পথদুর্ঘটনায় এক মোটর বাইক চালকের মৃত্যু ও দুজনের আহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র বালুরঘাটের বাদামাইল। কিন্তু দুর্ঘটনার ৩ ঘণ্টা পরেও পুলিশ না আসায় উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে।
সোমবার রাতে হিলির দিক থেকে একটি মোটর বাইকে করে তিনজন আসছিল। দ্রুতগতির মোটর বাইকটি বাদামাইলে ৫১২ জাতীয় সড়কের নির্মীয়মান আন্ডারপাসে ধাকা মারে। যেখানে লোহার রড বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। মৃত ওই যুবকের নাম মলয় দাস, বালুরঘাটের নামাবঙী এলাকার বাসিন্দা। বাকি দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা ধীন বালুরঘাট হাসপাতালে।
এদিকে ঘটনার তিনঘন্টা পরেও এলাকায় পুলিশের দেখা না মেলায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ওই নির্মাণকারী সংস্থার অফিসে তান্ডব চালায়। দুটি গাড়ি আগুন জ্বালিয়ে দেবার পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙ্গচুর করা হয়েছে একটি গাড়িতে। যদিও ঘটনার কথা কেউ স্বীকার করেননি। অন্ধকার থাকায় কাউকে চিনতে পারেনি বলে দাবি সেখানকার নৈশ প্রহরীর। উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও পরে বালুরঘাট থানার পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।
নৈশ প্রহরী পরিমল পাল বলেন, অন্ধকার থাকায় কাউকে চেনা সম্ভব হয়নি। প্রচুর লোক এসে তান্ডব চালিয়েছে তাদের ক্যাম্পাসে। গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ইট পাটকেল ছুড়ছিল উত্তেজিতরা, যার ভয়ে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি।
চন্দন লাহা ও নিত্যগোপাল সাহা নামে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আন্ডার পাস তৈরি হলেও তার সাবধানতার জন্য কোনক ব্যারিকেড দেয়নি ককর্তৃপ পক্ষ। রাতের অন্ধকারে তা না দেখতে পাওয়ায় একজনের জীবন গেছে বাকি দুজনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার তিন ঘন্টা পরেও পুলিশের দেখা না পাওয়া যাওয়ায় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।