রাজেন রায়, কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি: “যারা নিজেরাই বারবার দলবদল করেন তাদের মুখে পরিবর্তনের স্লোগান শোভা পায় না”। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই এবার আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ডুমুরজলার সভার পরেই আজ বারুইপুরে সভা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকে একদম আক্রমনাত্মক ভূমিকায় দেখা যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার প্রত্যুত্তরে এই ঝাঁজালো আক্রমণ করলেন কুনাল।
তিনি বলেন, তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। বাংলায় কর্মসংস্থান নেই। বিজেপি সরকার এলে চাকরি দেবে। রাজীব বলেন, সাম্প্রদায়িকতার, প্রাদেশিকতার আগুন জ্বালাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী। বহিরাগত শব্দ মেনে নেবে না বাঙালি।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, দফতর হারানোর দুঃখে গোটা বিষয়টা অপব্যাখ্যা করছে রাজীব। রাজীব বহিরাগত বিষয় নিয়ে বলছে মুখ্যমন্ত্রীকে? যিনি দু-দুবার ভারতবর্ষের রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। সর্বভারতীয় স্তরে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি কেন প্রাদেশিকতা ছড়াতে যাবেন। রাজীবকে কটাক্ষ করে কুনাল ঘোষ বলেন, তিনি সবে বিজেপিতে গেছেন তো, তাই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। প্রাদেশিকতা নয়। বাঙালি ও অবাঙালি তৃণমূল করেনি। বহিরাগতটা একটা স্পিরিট দিয়ে দেখতে হবে। রাজীবকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক করেছিল মন্ত্রী করেছিল। সমস্ত মেয়াদটা মন্ত্রী থাকার পর আজকে রাজীব জ্ঞান দিচ্ছে। ন্যূনতম নৈতিকতা, লজ্জা থাকলে এটা ও বলতে পারত না। দুদিন আগে যাকে নেত্রী বলে সে জনপ্রতিনিধি হয়েছে। আজকে তাঁর কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। রাজীব বিষ ছড়াচ্ছে। বাংলার মানুষের কোথাও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। রাজীব প্রথমত এই দায়িত্বটা নিক, ও কদিন বাদে কোন দলে থাকবে। যাদের নিজেদের পরিবর্তন করার অভ্যাস, তাদের মুখে পরিবর্তনের ডাক শোভা পায় না।

