আমাদের ভারত, ৩০ এপ্রিল: এবার জনগণনা বা
আদমশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে জাতিভিত্তিক জনগণনা। এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। রাজনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ক্যাবিনেট কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আসন্ন জনশুমারিতে জাতিভিত্তিক জনশুমারিও করা হবে।
জানাগেছে, আগামী বছর থেকেই জনশুমারি শুরু হতে পারে। বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। জাতি ভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলিকে আক্রমণ করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকার সময় কংগ্রেস সরকার বারবার জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ক্যাবিনেটের জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা উচিত। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারি সুপারিশ করেছিল। তারপরও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক সমীক্ষা করেছিল।
তিনি আরো বলেন, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্যের সমীক্ষা করেছে কেবলমাত্র কোনো জনজাতির সম্মুখ সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জাতিভিত্তিক জনশুমারির দাবি জানাচ্ছিল। চলতি বছরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিল। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিহারে নিতীশ কুমার সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১% অনগ্রসর,১৯.৭% জনজাতি, ১.৭% উপজাতি নাগরিক। এরপর থেকেই দেশজুড়ে জাতি ভিত্তিক গণনার দাবি আরও জোড়ালো হয়।