আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ ডিসেম্বর: রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আর কথা বলার পরিস্থিতি নেই। একথা জানিয়ে দিলেন ব্যারাকপুরের বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তিনি আজ ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে জানিয়ে দেন ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, টিকিট থাকলেও আর ওঠা যাবে না। তবে তিনি কোন দলের হয়ে বিধায়ক পদের জন্য লড়বেন তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে দেখা করতে এসে মঙ্গলবার হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শীলভদ্র দত্ত বাড়িতে না থাকায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা হয়নি ব্যারাকপুরের বেসুরো তৃণমূল বিধায়কের।
এই প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিকদের শীলভদ্র দত্ত বলেন, “ও আমাকে সময় না জানিয়ে বাড়িতে এসেছিল। ও সময় জানিয়ে আসলে নিশ্চই দেখা হত। এরপরেই তিনি বলেন, তাছাড়া এখন আমার কাছে এসে কি হবে? ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে দিয়েছে। বৈধ টিকিট থাকলেও আর ট্রেনে ওঠা সম্ভব নয়। দলের ভেতরে কি সমস্যা আছে জ্যোতিপ্রিয় সবই জানে। তবে আমি বলছি না আমার কোনও সমস্যার কথা। আমি শুধু বলছি ভোটে দাঁড়াব না। জ্যোতিপ্রিয় জেলা সভাপতি, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও জেলায় কোথায় কি সমস্যা, সবই জানে। আমার প্রশ্ন হল, সেই সমস্যা এতদিন কেন মেটাননি?
দল আমার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা না করলে আমি হয়ত বেঁচে ফিরতাম না। সারা জীবন দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু তাই বলে যে যা খুশি বলবে, সেটা হতে পারে না। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। রাজনীতির বাইরে কোনও ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানে বা ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলতে চাইলে নিশ্চই কথা বলব। তবে রাজনীতি নিয়ে ভোটের আগে কোনও কথা বলার পরিস্থিতি নেই। আমি নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হব না। বাকি কি হবে? আমি রাজনীতি করব, না সন্যাস নেব সেই সিদ্ধান্তের বিষয় এখনো মনস্থির করিনি। সেরকম কিছু সিদ্ধান্ত নিলে পরে জানাব।”
শীলভদ্র দত্তের এই প্রতিক্রিয়ার পরেই ফের এক ইঙ্গিতবহ ফেসবুক পোস্ট করেছেন তিনি। সেই পোস্টে তিনি গেরুয়া রঙের মধ্যে লিখেছেন, “বন্ধু দেখা হবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পোস্টও বেশ ইঙ্গিতবহ। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক কি বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন ? এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ব্যারাকপুরের রাজনৈতিক মহলে।